মালদা: কয়েক মাস আগে প্রণয়ের সম্পর্ক গড়ে উঠেছিল ওদের মধ্যে। সেই সম্পর্কের গভীরতা বাড়তে থাকার ফলে প্রমিকের কাছে বিয়ে করার আবদার রেখেছিলেন প্রমিকা। কিন্তু বিয়েতে রাজী নয় প্রেমিক। জোরাজুরি যখন বাড়তে থাকায় প্রেমিক জানায় সে বিবাহিত। কিন্তু এতেও নাছোড় প্রেমিকা। আর তারপর? মাথায় রক্ত চড়ে যায় যুবকের। খুন করে বসে সে। তবে খুনের ৭২ ঘন্টার মধ্যেই গ্রেফতার প্রেমিক।
সূত্রের খবর, মৃত যুবতীর নাম নাসিমা খাতুন (২৩) বাড়ি পুকুরিয়া থানার পরানপুর এলাকায়। অন্যদিকে, ধৃত ওই অপরাধীর নাম তারিকুল আলম।
গত ৩০ শে নভেম্বর সকালে মালদা জেলার পুকুরিয়া থানার খৈলসনা গ্রামের একটি আম বাগান থেকে ক্ষত-বিক্ষত অবস্থায় এক যুবতীর মৃতদেহ উদ্ধার হয়। প্রথমে যুবতীর পরিচয় না জানা গেলেও পরবর্তীতে পুলিশ পরিচয় উদ্ধার করে মৃত যুবতীর । ওইদিন সন্ধেয় নাসিমার পরিবারের পক্ষ থেকে খুনের অভিযোগ করা হয় পুকুরিয়া থানায়।
পুকুরিয়া থানার ওসি গৌতম চৌধুরীর নেতৃত্বে পুলিশ তদন্ত শুরু করে। খুনের ঘটনার ৭২ ঘণ্টার মধ্যে তারিকুল আলম নামের ওই যুবককে গ্রেফতার করে রানিনগর থেকে। অভিযুক্ত যুবকের বাড়ি রানিনগর এলাকায়। পেশায় সে পরিযায়ী শ্রমিক। ধৃত যুবক খুনের অভিযোগ স্বীকার করেছে বলে জানা গিয়েছে।
পুলিশ সূত্রে খবর, তারিকুল কেরালায় পরিযায়ী শ্রমিকের কাজ করত। গত তিন মাস আগে কেরালায় থাকাকালীন ফোন মারফত নাসিমা খাতুনের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে তাঁর। এরপর কয়েকদিন আগে তারিকুল বাড়ি ফিরে আসে। সেই সময় তাঁদের সম্পর্ক আরও ঘনিষ্ঠ পর্যায়ে যায়। অভিযোগ, এরপরেই নাসিমা তারিকুলের ওপর চাপ সৃষ্টি করে বিয়ে করার জন্য।
তবে তারিকুল পরে জানায় যে সে বিবাহিত। কিন্তু এতেও পিছু ছাড়েনি নাছোড় প্রেমিকা। সে জানায় এরপরও বিয়ে করতে রাজি সে। এবং গত ৩০ তারিখে বিয়ে করার দাবি রাখতে থাকে। তারিকুল নানা ভাবে নাসিমাকে বোঝানোর চেষ্টা করে যে সে এখন বিবাহ করতে পারবে না। কিন্তু লাভ হয়না কিছুতেই।
এরপরই পথের কাঁটাকে সরিয়ে দিতে চায় প্রেমিক। প্রেমিকাকে একটি ফাঁকা বাগানে ডেকে নিয়ে যায় সে। পরে চাকু দিয়ে খুন করে তাকে।
ঘটনার পর পুলিশ তদন্ত শুরু করে। ফোন মারফত জানতে পারে তারিকুলের সঙ্গে তার সম্পর্ক রয়েছে। তারিকুলকে পুলিশ গ্রেফতার করে। পুলিশি জিজ্ঞাসাবাদে তারিকুল খুনের অভিযোগ স্বীকার করে।
আরও পড়ুন: Corona Vaccine: নেই মাস্ক, উড়েছে করোনার ভয়! দ্বিতীয় ডোজ়ে কেন অনীহা বঙ্গবাসীর?