AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Corona Vaccine: নেই মাস্ক, উড়েছে করোনার ভয়! দ্বিতীয় ডোজ়ে কেন অনীহা বঙ্গবাসীর?

Paschim Bardhaman: যাঁদের প্রথম ডোজ় হয়েছে, প্রশাসনের তরফে তাঁদেরকে ফোন করে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হচ্ছে দ্বিতীয় ডোজ় নেওয়ার জন্য।

Corona Vaccine: নেই মাস্ক, উড়েছে করোনার ভয়! দ্বিতীয় ডোজ়ে কেন অনীহা বঙ্গবাসীর?
দ্বিতীয় ডোজ়ে অনীহা বঙ্গবাসীর
| Edited By: | Updated on: Dec 04, 2021 | 1:27 PM
Share

পশ্চিম বর্ধমান: একসময় করোনা টিকার (Corona Vaccine) হাহাকার পড়ে গিয়েছিল রাজ্যজুড়ে। জেলায়-জেলায় এমন প্রচুর মানুষ রয়েছেন যাঁরা রাত জেগে শুধু চিকার জন্য লাইন দিয়ে দাঁড়িয়ে ছিলেন কিন্তু টিকা পাননি। ভ্যাকসিনের জন্য চলেছিল মারপিট থেকে হাতাহাতি। ভুয়ো টিকা দেওয়ার অভিযোগে গ্রেফতারও হয়েছেন একাধিকজন। সেই সময় রব উঠেছিল ‘টিকা চাই, টিকা কই’। কিন্তু এখন যেন ছবিটা বদলে গিয়েছে। প্রথম ডোজ় হলেও দ্বিতীয় ডোজ় নেননি প্রায় এক লক্ষের বেশি মানুষ।

পশ্চিম বর্ধমান জেলা। জেলা স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে খবর, প্রায় লক্ষাধিক মানুষ ভ্যাকসিনের দ্বিতীয় ডোজ় নেননি। শুধু দ্বিতীয় ডোজ় নয়, প্রথম ডোজ়ও হয়নি প্রচুর মানুষের। তবে মানুষের গা ছাড়া মনোভাব থাকলেও উদ্যোগী প্রশাসন। আসানসোলের (Assansol) রবীন্দ্র ভবন চত্বর। সেখানে খোলা হয়েছে টিকার ক্যাম্প। কিন্তু ভিড় কোথায়? মাস দুয়েক আগেও জেলার স্বাস্থ্যকেন্দ্র-উপস্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলিতে টিকার জন্য লম্বালাইন চোখে পড়ত।

কিন্তু ভ্যাকসিন নিতে হঠাৎ এই অনীহা কেন?

জেলা স্বাস্থ্য আধিকারিক উদ্বেগ প্রকাশ করে জানিয়েছেন, প্রায় ১৯ লাখের বেশি মানুষ পশ্চিম বর্ধমান জেলায় টিকার প্রথম ডোজ় নিয়েছেন। আর দ্বিতীয় ডোজ় নিয়েছেন সাড়ে আট লাখের বেশি মানুষ। সময় পেরিয়ে গিয়েছে অথচ টিকা নেননি এমন মানুষের সংখ্যা প্রায় ১ লাখ ২৪ হাজারের মতো। জেলা স্বাস্থ্য আধিকারিকের দাবি, ভোটের সময় বাইরে থেকে প্রচুর মানুষ এসেছিলেন জেলায়। তাঁদের মধ্যে কেউকেউ হয়ত এইখান থেকে প্রথম ডোজ় নিয়েছেন কিন্তু দ্বিতীয় ডোজ় হয়ত অন্য জায়গা থেকে নিয়েছেন। সেই কারণেও হয়ত ফারাক দেখা যাচ্ছে।

একই সঙ্গে ইনজেকশনের ভয় থেকেও অনেকে প্রায় দ্বিতীয় ডোজ় নেয়নি। বেশির ভাগের আবার করোনার ভীতি কেটে গিয়েছে। তাঁরা মানছেন না সামাজিক দূরত্ব। মাস্ক নেই মুখে। সঙ্গে সচেতনতার বড়সড় অভাব লক্ষ করা গিয়েছে তাঁদের মধ্যে।

এদিকে, উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে জেলা প্রশাসনের তরফ থেকে। এলাকায় একের পর এক মাইকিং চলছে, পাশাপাশি মানুষ যাতে ভ্যাকসিন নেয় সেই কারণে বারবার তাঁদের আহ্বান জানানো হয়েছে। পাড়ায়-পাড়ায়, কমিউনিটি সেন্টারগুলিতে ছোটো-ছোটো- টিকার ক্যাম্প করা হয়েছে। যাঁদের প্রথম ভ্যাকসিন হয়েছিল অথচ দ্বিতীয় ভ্যাকসিন হয়নি সেই নম্বর দেখেও ফোন করে তাঁদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হচ্ছে যাতে তাঁরা এসে ভ্যাকসিনের দ্বিতীয় ডোজ় নিয়ে যান।

প্রসঙ্গত, গতকালের স্বাস্থ্য বুলেটিন অনুযায়ী পশ্চিম বর্ধমান জেলায় একদিনে আক্রান্ত হয়েছেন ২৪ জন। শেষ ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ ১২ জন। বৃহস্পতি ও শুক্রবার কারও মৃ্ত্যু হয়নি।

আরও পড়ুন: Cyclone Jawad: রয়েছে ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস, বন্ধ হুগলির একাধিক ফেরিঘাট