Rahul Gandhi: গেস্ট হাউজে ‘না’ রাজ্য সরকার, ক্লাবে বসে দুপুরে খাবার খেতে হবে রাহুলকে
Rahul Gandhi: জানা গিয়েছে, মালদহের হরিশ্চন্দ্রপুরের ভালুকাতে রাজ্য সেচ দফতরের গেস্ট হাউসে রাহুল গান্ধীর জন্য দুপুরের আহার আর বিশ্রামের জন্য সেচ দফতরের কাছে আবেদন করেছিল জেলা কংগ্রেস। জানা গিয়েছে, রাজ্য সরকার এতে অনুমতি দেয়নি।
মালদহ: আগামী ৩১ জানুয়ারি ‘ভারত জোড়ো ন্যায় যাত্রা’ আসবে মালদহে। উপস্থিত থাকবেন কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধী। তবে মধ্যাহ্ন ভোজনের জন্য সরকারি গেস্ট হাউস পেলেন না তিনি। বাধ্য হয়ে স্থানীয় ক্লাবেই তাঁর আহারের ব্যবস্থা করেছে জেলা কংগ্রেস। জানা গিয়েছে, মালদহের হরিশ্চন্দ্রপুরের ভালুকাতে রাজ্য সেচ দফতরের গেস্ট হাউসে রাহুল গান্ধীর জন্য দুপুরের আহার আর বিশ্রামের জন্য সেচ দফতরের কাছে আবেদন করেছিল জেলা কংগ্রেস। জানা গিয়েছে, রাজ্য সরকার এতে অনুমতি দেয়নি। তাই বাধ্য হয়ে রতুয়ার দেবীপুরে একটি ক্লাবেই তাঁর বিশ্রামের ব্যবস্থা করেছে কংগ্রেস।
কেন গেস্ট হাউজ পেলেন না রাহুল?
জেলা তৃণমূল সূত্রে খবর, এখন রাজ্য সরকারের বিভিন্ন মেলা চলছে। যার জন্য সরকারি গেস্ট হাউসগুলি আগে থেকেই বুকিং রয়েছে বিভিন্ন মন্ত্রী ও আধিকারিকদের জন্য। আগে থেকে জানা ছিল না বলেই গেস্ট হাউস দেওয়া সম্ভব হয়নি। জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের সহ সভাপতি দুলাল সরকার বলেন, “ভোট এলে কংগ্রেসের ঘুম ভাঙে। ফেব্রুয়ারি মাসে মাধ্যমিক। রাজ্য সরকার তাই বিভিন্ন মেলা গোটা জানুয়ারি মাস জুড়ে করে থাকে। আর এই মেলায় বিভিন্ন মন্ত্রী আধিকারিকরা উপস্থিত থাকেন বলে সরকার আগে থেকেই গেস্ট হাউগুলি বুক করে রেখেছে তাঁদের জন্য। হঠাৎ করে আজ রাহুল গান্ধী আসবেন বলে কংগ্রেস ঘুম থেকে উঠে বলবে গেস্ট হাউস দাউ। এই সব বলে কিছু হবে না।”
মালদহ জেলার কংগ্রেসের সহ সভাপতি দুলাল সরকার বলেন, “আমরা আবেদন করেছিলাম। সেক্রেটারির সঙ্গেও কথা হয়েছিল। বলেছে পরে জানাচ্ছি। এখন মনে হচ্ছে শাসকদল ভয় পাচ্ছে তাই হয়ত দিতে চাইছে না।” বস্তুত, এ দিকে রাহুলের এই গেস্ট হাউস না পাওয়া নিয়েও অন্দরে-অন্দরে শুরু হয়েছে রাজনীতি। ন্যায় যাত্রায় কংগ্রেসের পাশে প্রথম থেকেই দেখা মেলেনি তৃণমূলের। খোদ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন, তিনি জানেন না এই কর্মসূচি নিয়ে। একদিকে যখন এই চাপানউতোর চলছে সেই পরিস্থিতিতে গেস্ট-হাউস না মেলা নিয়েও অন্দরে রাজনীতি তৈরি হচ্ছে বলেই মত রাজনীতির কারবারিদের।