Fraud Case: রাহুল গান্ধী বঙ্গে পা রাখতেই কেলেঙ্কারিতে ধরা পড়লেন হেভিওয়েট কংগ্রেস নেতা
Fraud Case: এদিকে, বঞ্চিত হয়েছেন প্রকৃত উপভোক্তা। দীর্ঘদিন ধরেই বিডিও-র কাছে এই অভিযোগ জমা পড়ছিল। অভিযোগ পেয়ে অভিযান চালান খোদ বিডিও। তাতেই এই চক্রের পর্দাফাঁস।
মালদহ: মুখ্যমন্ত্রী আর রাহুল গান্ধীর জেলা সফরের আগেই মালদহের হরিশ্চন্দ্রপুরে জাল বিশেষভাবে সক্ষম ব্যক্তিদের জন্য সার্টিফিকেটের প্রতারণা চক্রের পর্দাফাঁস। পাকড়াও এক কংগ্রেস নেতা এবং এক তৃণমূল কর্মী। হরিশ্চন্দ্রপুর ১ নম্বর ব্লকের বিভিন্ন গ্রামে জনসংযোগ এবং পাড়ায় সমাধান কর্মসূচিতে বিশেষভাবে সক্ষম ব্যক্তিদের দেওয়া জাল সার্টিফিকেটের প্রতারণা চক্রের পর্দা ফাঁস হয়। বিষয়টি হাতে নাতে ধরেন খোদ বিডিও সৌমেন মণ্ডল। সমগ্র ঘটনায় পুলিশের এক হোমগার্ড, স্থানীয় এক তৃণমূল নেতা ও এক তৃণমূল কর্মী গ্রেফতার হন।
জানা গিয়েছে, দীর্ঘদিন ধরেই চলছিল এই প্রতারণা চক্র। যেখানে বিভিন্ন এলাকার বহু মানুষ প্রতারিত হয়েছেন। যাঁদেরকে মোটা টাকার বিনিময়ে দেওয়া হয়েছে জাল সার্টিফিকেট। এমনকি অনেকে বিশেষভাবে সক্ষম না হওয়া সত্ত্বেও ওই জাল সার্টিফিকেট দিয়ে ভাতা পাচ্ছেন বা সরকারি ক্ষেত্রে বহু সুবিধা নিচ্ছেন বলে অভিযোগ।
এদিকে, বঞ্চিত হয়েছেন প্রকৃত উপভোক্তা। দীর্ঘদিন ধরেই বিডিও-র কাছে এই অভিযোগ জমা পড়ছিল। অভিযোগ পেয়ে অভিযান চালান খোদ বিডিও। তাতেই এই চক্রের পর্দাফাঁস।
ধৃতদের জেরা করে এই প্রতারণা চক্রের সঙ্গে যুক্ত আরও দু’জনের নাম উঠে আসে। মুখ্যমন্ত্রীর জেলা সফরের আগেই প্রতারকদের জালে আনতে তৎপর হয় হরিশ্চন্দ্রপুর থানার পুলিশ। গ্রেফতার হয়েছেন ডোমরকলা গ্রামের বাসিন্দা মাসুম এবং ঝিকোডাঙ্গা গ্রামের বাসিন্দা রাশেদুল হক। মাসুম তৃণমূল কর্মী এবং রাসেদুল হক কংগ্রেসের বুথ সভাপতি। এদিকে এই নিয়ে সরব হয়েছে বিজেপি। শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা।
বিজেপি নেতা রূপেশ আগরওয়াল, “যে কোনও দুর্নীতির জন্য এই সরকার পিএইচডি করেছে। তৃণমূলের নীচু তলার কর্মী থেকে শুরু করে ওপরওয়ালা সবাই পিএইচডি করেছে। আম গাছে তো আর কুল ধরবে না!”
কংগ্রেস নেতার বক্তব্য, “সব দফতরেই এরকম জাল চক্র রয়েছে। চুনো পুঁটিরা ধরা পড়ছে, মাথারা এখনও বেঁচে যাচ্ছে। আইন আইনের পথে চলবে।”
তৃণমূলের সভাপতি আব্দুর রহমানের বক্তব্য, “এটাতেই তো বোঝা যাচ্ছে, প্রশাসন প্রশাসনের কাজ করছে। এখানে দল ব্যাপার নয়। যে যে দলেরই হোক না কেন। অন্যায় করলে প্রশাসন ব্যবস্থা নেবেই। “