‘হার্টফেল করল আমার বাচ্চাটা’, মধ্য রাতে বাজির আওয়াজে চরম পরিণতি টলিউড অভিনেত্রীর ‘সন্তানের’
বছর শেষ। নতুন বছরকে স্বাগত জানাতে বিশ্বের সবাই মেতেছিলেন আনন্দে। চারিদিকে আলোর রোশনাই। বাজি ফাটিয়ে, গান বাজিয়ে ২০২৫ সালকে স্বাগত জানিয়েছেন সবাই। কিন্তু এই উল্লাস, এই বাঁধনভাঙা উচ্ছ্বাস যে কারও দুঃখের কারণ হয়ে দাঁড়াবে সেটা কি কেউ কখনও ভাবতে পেরেছিলেন।
বছর শেষ। নতুন বছরকে স্বাগত জানাতে বিশ্বের সবাই মেতেছিলেন আনন্দে। চারিদিকে আলোর রোশনাই। বাজি ফাটিয়ে, গান বাজিয়ে ২০২৫ সালকে স্বাগত জানিয়েছেন সবাই। কিন্তু এই উল্লাস, এই বাঁধনভাঙা উচ্ছ্বাস যে কারও দুঃখের কারণ হয়ে দাঁড়াবে সেটা কি কেউ কখনও ভাবতে পেরেছিলেন। অতিরিক্ত বাজির শব্দে সন্তানকে বাঁচিয়ে রাখতে পারলেন না অভিনেত্রী বৃষ্টি রায়। তাঁকে অনেক ছবিতে দেখেছেন দর্শক। চরিত্রাভিনেত্রী হিসাবে বেশ নামডাক রয়েছে তাঁর।
মায়ের মৃত্যুর পর সন্তানকে আঁকড়েই ছিলেন। কিন্তু ‘নিউ ইয়ার’ইভে বাজি ফাটিয়ে সকলের উল্লাস কেড়ে নিল অভিনেত্রীর কাছের জনকে। বছরের প্রথম দিনের সকালে লাইভে এসে কাঁদতে কাঁদতে এসে বললেন অভিনেত্রী। ডোডোই ছিল তাঁর জীবন। সানকুনু এক ধরনের তোতা পাখি। তাকে নিয়েই সময় কেটে যেত তাঁর। ৩১ ডিসেম্বর মধ্যরাতে অতিরিক্ত বাজির শব্দে হার্ট অ্যাটাক করে তার।
লাইভে এসে কাঁদতে কাঁদতে বললেন, “আমার বাচ্চাটা হার্টফেল করে চলে গেল। মানুষের বাচ্চা নয়তো তাই অভিযোগ জানাতে পারব না। কিন্তু বিশ্বাস করুন কারও আনন্দে আমার আপত্তি নেই। কিন্ত এই প্রাণীগুলোর কথা ভাবুন। সহ্য করতে পারল না আমার বাচ্চাটা। বেশি বয়স ছিল না ওর। গুগল বলছে সানকুনুরা ২৫-৩০ বছর বয়স পর্যন্ত বাঁচে। কিন্তু এত বাজির শব্দ সহ্য করতে পারল না।” কথা বলতে বলতে কান্নায় ভেঙে পড়েন অভিনেত্রী। তাঁর এই ভিডিয়ো দেখে অনেকেই পাশে দাঁড়িয়েছেন। ঘটনার তীব্র নিন্দা করেছেন। উল্লেখ্য, বৃষ্টিকে আগামীতে দেখা যাবে শর্মিলা ঠাকুর এবং ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত অভিনীত ‘পুরাতন’ ছবিতে।