Video: কখনও ৫০, কখনও ১০০, হাতে হাতে টাকা দিলেই ‘দুয়ারে’ সরকার!

TV9 Bangla Digital | Edited By: tista roychowdhury

Aug 31, 2021 | 5:24 PM

Duare Sarkar: আবেদনকারীদের অভিযোগ, এদিন সকালে দুয়ারে সরকারের (Duare Sarkar) শিবিরে সকাল থেকে ভিড় জমান স্থানীয়রা। কিন্তু, ফর্ম ফিলাপ করতে  গিয়ে টাকা নেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ।

Follow Us

মালদা: দুয়ারে ‘দুর্নীতি’! টাকার বদলে মিলছে দুয়ারে সরকারে (Duare Sarkar) আবেদনের ফর্ম। TV9 বাংলার খবরেরে জেরে সামনে এল সেই ছবি। ভিডিয়োতে দেখা গিয়েছে হাতে হাতে টাকা দিলেই মিলছে দুয়ারে সরকারের আবেদনপত্র। হরিশচন্দ্রপুর ১ নম্বর ব্লকের অন্তর্গত  গ্রাম পঞ্চায়েতের স্থানীয় বিদ্যালয়ে দুয়ারে সরকারের ক্যাম্প চলাকালীন এই দুর্নীতির অভিযোগ ওঠে। সরকারি প্রকল্পেও কাটমানি নেওয়ার অভিযোগে তৃণমূলকে কটাক্ষ গেরুয়া শিবিরের। ঘটনাকে কেন্দ্র করে তুঙ্গে রাজনৈতিক চাপানউতোর।

আবেদনকারীদের অভিযোগ, এদিন সকালে দুয়ারে সরকারের (Duare Sarkar) শিবিরে সকাল থেকে ভিড় জমান স্থানীয়রা। কিন্তু, ফর্ম ফিলাপ করতে  গিয়ে টাকা নেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ। কখনও ৫০টাকা, কখনও বা ১০০ টাকা, টাকার পরিমাণের কোনও ঠিক-ঠিকানা নেই বলেই অভিযোগ উপভোক্তাদের। যা নিয়ে রীতিমতো ক্ষুব্ধ আমজনতা। এদিন, তৃণমূল নেতা জিয়াউর রহমান-সহ  অন্যান্য পঞ্চায়েত সদস্যদের ঘিরে ধরে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন।

ফর্ম নিতে আসা এক উপভোক্তার কথায়, “আমরা লক্ষ্মী ভাণ্ডারের ফর্ম  নিতে আসি। কিন্তু, এখানে এলে প্রথমে ফর্ম কিনতে হচ্ছে। তারপর আবার ফিলাপ করাতেও টাকা। দুয়ারে সরকার শিবিরে টিকাকরণও হওয়ার কথা। কিন্তু টিকা না পেয়ে ফিরে যাচ্ছি, দিনের পর দিন। মুখ্যমন্ত্রী যখন বারবার বলছেন দুয়ারে সরকারের কর্মসূচিতে সকলের অধিকার রয়েছে, সেখানে কী করে এই ধরনের ঘটনা ঘটছে তা নিয়ে যথেষ্ট সন্দিহান আমরা। তাই বাধ্য হয়েই আজ পঞ্চায়েত সদস্য়দের ঘিরে বিক্ষোভ দেখিয়েছি।”

ঘটনায় তৃণমূল নেতা জিয়াউর রহমান বলেন, “আমাদের সম্মানীয়া মুখ্য়মন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বারবার বলেছেন দুয়ারে সরকার প্রকল্প সাধারণ মানুষের জন্য। সেখানে যাতে কোনও রাজনৈতিক রঙ না লাগে সেদিকে নজর দিতে বলেছেন। তাই কোনওভাবেই টাকা দিয়ে এই কাজ করা যাবে না এমনটা আগেই নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। তাই এইধরনের যে অভিযোগ উঠছে তা সম্পূর্ণ ভ্রান্ত। তবে যদি সত্যিই এমন ঘটনা ঘটে থাকে তবে উপযুক্ত পদক্ষেপ করা হবে।” পাল্টা, বিজেপির মন্ডল সভাপতি রূপেশ আগরওয়াল বলেন, “এমনটা তো হওয়ারই কথা। আমরা বিভিন্ন সময়ে এই খবর পেয়েছি। তৃণমূল সরকার এর থেকে বেশি কী আর করতে পারবে! এটাই তো সরকারের থেকে কাম্য়।”

উল্লেখ্য, ‘দুয়ারে সরকার’ প্রকল্পে ‘দুর্নীতি’ এই প্রথম নয়। সরকারিভাবে প্রকল্প চালু হওয়ার কথা ঘোষণার পর থেকেই ধূপগুড়ি, মালদা-সহ একাধিক এলাকায় এই দুর্নীতির ছবি সামনে এসেছে। এমনকী, লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের ফর্ম তুলতে গিয়ে পদপিষ্ট হয়েছেন এই ছবিও ধরা পড়েছে। কোথাও বা প্রকল্পের সুবিধা পাইয়ে দেওয়ার নাম করে মোটা টাকা নেওয়ার অভিযোগও সামনে এসেছে। সম্প্রতি, বিজেপি রাজ্য় সভাপতি দিলীপ ঘোষ রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে সুর চড়িয়ে বলেছেন, “বাংলার মানুষকে ভিখারি বানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। ৫০০ টাকার জন্য মানুষ লাইনে দাঁড়াচ্ছে। মারপিট করছে। পদপিষ্ট হচ্ছে।”

দুয়ারে সরকার প্রকল্পে যাতে কোনওরকম দুর্নীতি না হয়, তার জন্য় প্রথম থেকেই হুঁশিয়ারি দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। দুয়ারে সরকারের শিবির কোনও দলীয় কার্যালয়ে করা যাবে না কেবল নয়, শিবিরের আশেপাশে কোনওরকম দলীয় নেতৃত্বও উপস্থিত থাকতে পারবেন না বলে আগেই নির্দেশ দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। সেখানে, টাকা নেওয়া তো দূরের ব্যাপার। কেউ যদি এ ধরনের কাজ করে থাকেন তবে তাঁর বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ করতে পিছপা হবে না সরকার এমনটা আগেই জানিয়েছিলেন মুখ্য়মন্ত্রী। কিন্তু সেই নির্দেশকে অমান্য করে কী করে এই ‘দুর্নীতি’ হয়ে চলেছে তা নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন সংশ্লিষ্ট মহল। যদিও, হরিশচন্দ্রপুরের এই ঘটনায় জেলা প্রশাসনের তরফ থেকে কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।

দেখুন ভিডিয়ো: 

আরও পড়ুন: সেয়ানে-সেয়ানে টক্কর! একই দিনে CID ও CBI পৌঁছল নন্দীগ্রামে

মালদা: দুয়ারে ‘দুর্নীতি’! টাকার বদলে মিলছে দুয়ারে সরকারে (Duare Sarkar) আবেদনের ফর্ম। TV9 বাংলার খবরেরে জেরে সামনে এল সেই ছবি। ভিডিয়োতে দেখা গিয়েছে হাতে হাতে টাকা দিলেই মিলছে দুয়ারে সরকারের আবেদনপত্র। হরিশচন্দ্রপুর ১ নম্বর ব্লকের অন্তর্গত  গ্রাম পঞ্চায়েতের স্থানীয় বিদ্যালয়ে দুয়ারে সরকারের ক্যাম্প চলাকালীন এই দুর্নীতির অভিযোগ ওঠে। সরকারি প্রকল্পেও কাটমানি নেওয়ার অভিযোগে তৃণমূলকে কটাক্ষ গেরুয়া শিবিরের। ঘটনাকে কেন্দ্র করে তুঙ্গে রাজনৈতিক চাপানউতোর।

আবেদনকারীদের অভিযোগ, এদিন সকালে দুয়ারে সরকারের (Duare Sarkar) শিবিরে সকাল থেকে ভিড় জমান স্থানীয়রা। কিন্তু, ফর্ম ফিলাপ করতে  গিয়ে টাকা নেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ। কখনও ৫০টাকা, কখনও বা ১০০ টাকা, টাকার পরিমাণের কোনও ঠিক-ঠিকানা নেই বলেই অভিযোগ উপভোক্তাদের। যা নিয়ে রীতিমতো ক্ষুব্ধ আমজনতা। এদিন, তৃণমূল নেতা জিয়াউর রহমান-সহ  অন্যান্য পঞ্চায়েত সদস্যদের ঘিরে ধরে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন।

ফর্ম নিতে আসা এক উপভোক্তার কথায়, “আমরা লক্ষ্মী ভাণ্ডারের ফর্ম  নিতে আসি। কিন্তু, এখানে এলে প্রথমে ফর্ম কিনতে হচ্ছে। তারপর আবার ফিলাপ করাতেও টাকা। দুয়ারে সরকার শিবিরে টিকাকরণও হওয়ার কথা। কিন্তু টিকা না পেয়ে ফিরে যাচ্ছি, দিনের পর দিন। মুখ্যমন্ত্রী যখন বারবার বলছেন দুয়ারে সরকারের কর্মসূচিতে সকলের অধিকার রয়েছে, সেখানে কী করে এই ধরনের ঘটনা ঘটছে তা নিয়ে যথেষ্ট সন্দিহান আমরা। তাই বাধ্য হয়েই আজ পঞ্চায়েত সদস্য়দের ঘিরে বিক্ষোভ দেখিয়েছি।”

ঘটনায় তৃণমূল নেতা জিয়াউর রহমান বলেন, “আমাদের সম্মানীয়া মুখ্য়মন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বারবার বলেছেন দুয়ারে সরকার প্রকল্প সাধারণ মানুষের জন্য। সেখানে যাতে কোনও রাজনৈতিক রঙ না লাগে সেদিকে নজর দিতে বলেছেন। তাই কোনওভাবেই টাকা দিয়ে এই কাজ করা যাবে না এমনটা আগেই নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। তাই এইধরনের যে অভিযোগ উঠছে তা সম্পূর্ণ ভ্রান্ত। তবে যদি সত্যিই এমন ঘটনা ঘটে থাকে তবে উপযুক্ত পদক্ষেপ করা হবে।” পাল্টা, বিজেপির মন্ডল সভাপতি রূপেশ আগরওয়াল বলেন, “এমনটা তো হওয়ারই কথা। আমরা বিভিন্ন সময়ে এই খবর পেয়েছি। তৃণমূল সরকার এর থেকে বেশি কী আর করতে পারবে! এটাই তো সরকারের থেকে কাম্য়।”

উল্লেখ্য, ‘দুয়ারে সরকার’ প্রকল্পে ‘দুর্নীতি’ এই প্রথম নয়। সরকারিভাবে প্রকল্প চালু হওয়ার কথা ঘোষণার পর থেকেই ধূপগুড়ি, মালদা-সহ একাধিক এলাকায় এই দুর্নীতির ছবি সামনে এসেছে। এমনকী, লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের ফর্ম তুলতে গিয়ে পদপিষ্ট হয়েছেন এই ছবিও ধরা পড়েছে। কোথাও বা প্রকল্পের সুবিধা পাইয়ে দেওয়ার নাম করে মোটা টাকা নেওয়ার অভিযোগও সামনে এসেছে। সম্প্রতি, বিজেপি রাজ্য় সভাপতি দিলীপ ঘোষ রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে সুর চড়িয়ে বলেছেন, “বাংলার মানুষকে ভিখারি বানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। ৫০০ টাকার জন্য মানুষ লাইনে দাঁড়াচ্ছে। মারপিট করছে। পদপিষ্ট হচ্ছে।”

দুয়ারে সরকার প্রকল্পে যাতে কোনওরকম দুর্নীতি না হয়, তার জন্য় প্রথম থেকেই হুঁশিয়ারি দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। দুয়ারে সরকারের শিবির কোনও দলীয় কার্যালয়ে করা যাবে না কেবল নয়, শিবিরের আশেপাশে কোনওরকম দলীয় নেতৃত্বও উপস্থিত থাকতে পারবেন না বলে আগেই নির্দেশ দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। সেখানে, টাকা নেওয়া তো দূরের ব্যাপার। কেউ যদি এ ধরনের কাজ করে থাকেন তবে তাঁর বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ করতে পিছপা হবে না সরকার এমনটা আগেই জানিয়েছিলেন মুখ্য়মন্ত্রী। কিন্তু সেই নির্দেশকে অমান্য করে কী করে এই ‘দুর্নীতি’ হয়ে চলেছে তা নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন সংশ্লিষ্ট মহল। যদিও, হরিশচন্দ্রপুরের এই ঘটনায় জেলা প্রশাসনের তরফ থেকে কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।

দেখুন ভিডিয়ো: 

আরও পড়ুন: সেয়ানে-সেয়ানে টক্কর! একই দিনে CID ও CBI পৌঁছল নন্দীগ্রামে

Next Article