মালদা: টাকা দিলেই মিলব শংসাপত্র, মার্কশিট! লক্ষ লক্ষ টাকা দিয়ে শংসাপত্র ও মার্কশিট জাল করার অভিযোগ উঠল গৌড় বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ে। জাল শংসাপত্র তৈরির কাজে জড়িয়ে বিশ্ববিদ্যালয়েরেই অধ্যাপক ও অশিক্ষক কর্মীদের একাংশ অভিযোগ এমনটাই। TV9 -এর খবরের জেরে সামনে এল বিশ্ববিদ্যালয়ের এই সক্রিয় জাল চক্র।
কীভাবে চলছে এই জাল চক্র? বিশ্ববিদ্যালয়ের নোডাল অফিসার রাজীব পুততুণ্ড বলেন, “কিছু মার্কশিট উদ্ধার হয়েছে। দেখলাম, সেই মার্কশিটে যে স্নাতকোত্তর পড়ুয়ার নামে করা হয়েছে সেখানে সই রয়েছে সুনন্দ দাসের। কিন্তু, ২০১৯-এ সুনন্দ দাস ছিলেন না ওই পদে। তখনই বুঝতে পারি মার্কশিটটি জাল। এরকম একাধিক জাল শংসাপত্র বেরিয়েছে। আমরা গোটা ঘটনাটা খতিয়ে দেখছি।” বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে খবর, সমস্ত পড়ুয়াদের নামতালিকা-সহ সমস্ত তথ্য তালিকাভুক্ত করা রয়েছে। সেই তালিকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও অশিক্ষক কর্মীরা ব্যবহার করতে পারেন। ফলে, খুব সহজেই তথ্য় অদল বদল করে জাল শংসাপত্র বা মার্কশিট বানানো কঠিন নয়।
বিশ্ববিদ্যালয়ে এভাবে সক্রিয় জাল চক্রটি কীভাবে রমরমিয়ে চলছিল তা নিয়েও উঠছে প্রশ্ন। বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য শান্তা ছেত্রী যদিও জানিয়েছেন এই ধরনের কোনও তথ্য তাঁর কাছে নেই। এরপরেই, আভ্যন্তরীণ কমিটি গঠন করে তড়িঘড়ি তদন্তে নামে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। সংবাদমাধ্য়মে খবর ছড়িয়ে পড়তেই রাজ্য শিক্ষা দফতর থেকে শুরু করে উচ্চ পর্যায়ে ঘটনার তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে। এরপরেই ইংরেজবাজার পুলিশের হাতে তদন্তভার তুলে দেওয়া হয়। আরও পড়ুন: ‘গাড়ি থেকে টান দিয়ে ফেলে আমার উপর ঝাঁপিয়ে পড়ে ওরা’, বাড়ি ফিরতে গিয়ে মর্মান্তিক পরিণতি নার্সের!