মালদা: পঞ্চায়েত ভোটের (Panchayet Election 2023) আগে বড় ভাঙন তৃণমূল শিবিরে। প্রায় শতাধিক নেতা-কর্মীর পরিবার এবার তৃণমূল (TMC) ছেড়ে যোগ দিল বিজেপিতে (BJP)। মালদার বৈষ্ণবনগর বিধানসভা এলাকার গোলাপগঞ্জ, চরিঅনন্তপুর ও আকন্দবাড়িয়া গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার প্রায় শতাধিক তৃণমূল নেতা ও কর্মী পদ্ম শিবিরে নাম লেখালেন। এর পাশাপাশি কংগ্রেসের টিকিটে জেতা পঞ্চায়েত সমিতির সদস্যা ও তাঁর কিছু অনুগামীকে সঙ্গে নিয়ে যোগ দেন বিজেপিতে। তৃণমূল ছেলে বিজেপিতে যোগ দেওয়া নেতা-কর্মীদের বক্তব্য, “তৃণমূলের আমলে সাধারণ মানুষের অধিকার হরণ হয়েছে। দলের নেতারা প্রতিটি জায়গায় কাটমানি খাচ্ছে। কাটমানি না দিলে কোনও সরকারি সুবিধা মিলছে না। আর এর থেকে রেহাই পাচ্ছেন না তৃণমূলের নীচতলার কর্মীরাও।”
বিজেপির স্থানীয় নেতৃত্বের দাবি, প্রায় শতাধিক পরিবার এদিন বিজেপিতে যোগ দিয়েছে। এর মধ্যে ৮০ শতাংশ তৃণমূল থেকে এবং বাকি ২০ শতাংশ কংগ্রেস থেকে। বিজেপি নেতৃত্বের কথায়, নরেন্দ্র মোদী যেভাবে ভারতকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন, যেভাবে বিশ্বের দরবারে ভারতের বলিষ্ঠ পরিচিতি করিয়েছেন, তাতে অনুপ্রাণিত হয়ে আজ এরা বিজেপির পতাকা তুলে নেন। এর পাশাপাশি, শাসক দলের একাধিক নেতা, মন্ত্রী গ্রেফতারির বিষয়টিও তৃণমূলের নীচু তলার কর্মী ও সমর্থকদের উপর প্রভাব ফেলছে বলেও মত তাঁর। তাঁদের বক্তব্য, “মানুষ সুযোগ পেলে এদের উপরে ফেলবে।”
যদিও বিষয়টি নিয়ে বাড়তি গুরুত্ব দিয়ে চাইছে না শাসক শিবিরের জেলা নেতৃত্ব। মালদা জেলা তৃণমূল সভাপতি আব্দুর রহিম বক্সির বক্তব্য, “ভোট এলেই এসব নাটক শুরু করে বিজেপি। নিজেদের লোক এনে বলে তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দিল। পরে ভোটের ফলাফল দেখলেই সব বোঝা যায়। এবারে পঞ্চায়েত ভোটেও তাই হবে। মালদা জেলায় তৃণমূল যথেষ্ট শক্তিশালী।”
তবে পঞ্চায়েত ভোটের আগে এই দলবদল ঘিরে ইতিমধ্যেই বেশ চর্চা শুরু হয়ে গিয়েছে জেলার রাজনীতির অন্দরমহলে। আগামী দিনে এর থেকে পদ্ম শিবির কোনও রাজনৈতিক ফায়দা বিজেপি তুলতে পারে কি না, সেই দিকেই তাকিয়ে রাজনৈতিক মহল।