AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Malda: বেড মেলে নি, সাপে কাটা রোগীকে গাড়িতে শুইয়েই স্যালাইন দেওয়ার অভিযোগ

Malda Medical Negligence: হরিশ্চন্দ্রপুরের সোনাকুল এলাকায় এক যুবককে সাপে কামড়ায়। সঙ্গে সঙ্গেই তাঁর দাদা ওয়াসিম আক্রম ব্যক্তিগত গাড়িতে করে তাঁকে হরিশ্চন্দ্রপুর গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যান। প্রথমে জরুরি বিভাগে প্রাথমিক চিকিৎসা হয়। তারপর বলা হয় তাঁকে কয়েক ঘণ্টা পর্যবেক্ষণে রাখা হবে। স্যালাইন চালিয়ে দিয়ে বলা হয় বসতে।

Malda: বেড মেলে নি, সাপে কাটা রোগীকে গাড়িতে শুইয়েই স্যালাইন দেওয়ার অভিযোগ
গাড়িতে বসেই স্যালাইনImage Credit: TV9 Bangla
| Edited By: | Updated on: Oct 30, 2025 | 12:32 PM
Share

মালদহ: এবার মন্ত্রীর গড়ে সরকারি হাসপাতালের কঙ্কালসার চেহারা প্রকাশ্যে এল সামাজিক মাধ্যমে, সাপে কাটা রোগীকে নিয়ে এসে বেড না পেয়ে স্যালাইন চালানো অবস্থায় শুইয়ে রাখা হল ব্যক্তিগত গাড়িতে। সেই পরিস্থিতিতে ফেসবুক লাইভ করে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ রোগীর দাদার, এলাকার বিধায়ক তথা রাজ্যের মন্ত্রীর ভূমিকা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে ধান্দাবাজ বলে আক্রমণ। সামাজিক মাধ্যমে ঝড়ের গতিতে ভাইরাল ভিডিয়ো। মালদহের হরিশ্চন্দ্রপুরের ঘটনা।

সোনাকুল এলাকায় এক যুবককে সাপে কামড়ায়। সঙ্গে সঙ্গেই তাঁর দাদা ওয়াসিম আক্রম পেশায় সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী। তিনি তাঁর ব্যক্তিগত গাড়িতে করে তাঁকে হরিশ্চন্দ্রপুর গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যান। প্রথমে জরুরি বিভাগে প্রাথমিক চিকিৎসা হয়। তারপর বলা হয় তাঁকে কয়েক ঘণ্টা পর্যবেক্ষণে রাখা হবে। অভিযোগ, স্যালাইন চালিয়ে দিয়ে বলা হয় বসতে। কিন্তু কোন বেড মেলে না। এমন কি ছিল না বসার জায়গা পর্যন্ত । হাসপাতালের চারিদিকে ছিল ছাগল কুকুর। সেই পরিস্থিতিতে বাধ্য হয়ে রোগীকে নিয়ে তাঁর দাদা স্যালাইন চালানো অবস্থাতে নিজের ব্যক্তিগত গাড়িতেই নিয়ে যান।

তারপর সামাজিক মাধ্যমে লাইভ করেন। সেখানে তিনি হাসপাতালের চূড়ান্ত অব্যবস্থার কথা তুলে ধরে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেন।এলাকার বিধায়ক তথা রাজ্যের প্রতিমন্ত্রী তাজমুল হোসেনকে তীব্র আক্রমণ করেন। তাজমুল হোসেনই আবার এই হাসপাতালের রোগী কল্যাণ সমিতির চেয়ারম্যান। ফেসবুক লাইভে এসে তিনি তোপ দেগে বলেন, “রোগীর কী অবস্থা, সেটা দেখার ওনার কোনও দরকার নেই। উনি কেবল চাই, ক্ষমতা আর ভোট। ” তার ফেসবুক লাইভ দ্রুত গতিতে ভাইরাল হয়ে পড়ে।

এছাড়াও তিনি জেলা স্বাস্থ্য আধিকারিকের কাছে অভিযোগ দায়ের করেছেন।এই ঘটনা সামনে আসতে বিজেপির অভিযোগ অযোগ্য মুখ্যমন্ত্রী তথা স্বাস্থ্যমন্ত্রীর জন্য রাজ্যের স্বাস্থ্য ব্যবস্থা ভেঙে পড়েছে। তৃণমূলের নেতা জন-প্রতিনিধিরা চুরি করতেই ব্যস্ত। যদিও এই নিয়ে মন্ত্রী তাজমুলের দাবি, যে পরিষেবা বাংলায় পাওয়া যায় তা সারা ভারতে কোথাও পাওয়া যায় না। প্রতিবাদী আইনজীবীকে পাগল বলেন তিনি। তিনি ফোনে বলেন, “বাংলার হাসপাতালে যা পাওয়া যায়, তা আর কোথাও পাওয়া যায় না। পাগলে কী বলল, তাতে কান দিয়ে লাভ নেই। প্রত্যেকটা মানুষ আজ খুশি রয়েছেন। ”

প্রসঙ্গত এই হরিশ্চন্দ্রপুর গ্রামীণ হাসপাতালের বেহাল দশা এর আগেও সামনে এসেছে। সীমানা প্রাচীরবিহীন হাসপাতালে ঘুরে বেড়ায় গরু-ছাগল। চারিদিকে আবর্জনা। যদিও এত কিছুর পরেও টনক নড়েনি প্রশাসন বা মন্ত্রীর।যিনি এই হাসপাতালের রোগী কল্যাণ সমিতির চেয়ারম্যান। সমগ্র ঘটনায় তুঙ্গে উঠেছে রাজনৈতিক তরজা।