Malda: ভয়ে দিল্লি থেকে পালিয়ে আসেন, পরিযায়ী শ্রমিকের মেয়ের বিয়ে দিলেন তৃণমূল নেতা
Malda: তৃণমূলের মালদহ জেলা পরিষদ সদস্য তথা জেলার সাধারণ সম্পাদক বুলবুল খান। ধুমধামের সঙ্গেই এক হল চার হাত। মালদহ জেলার হরিশ্চন্দ্রপুর ২ নম্বর ব্লকের শামুখা গ্রাম। পিছিয়ে পড়া প্রত্যন্ত এলাকা।

মালদহ: এবার আতঙ্কে দিল্লি ফেরত পরিযায়ী শ্রমিকের মেয়ের বিয়ের দায়িত্বেও তৃণমূল। মালদহে পরিযায়ী শ্রমিক দেখলেই পাশে দাঁড়িয়ে যাচ্ছেন কোনও না কোনও তৃণমূল নেতা। কে আগে যাবেন সাহায্যে তাই নিয়েই নিজেদের মধ্যে চলছে প্রতিযোগিতা। একদিকে যখন সাজেনুর খাতুনকে নিয়ে ছুটোছুটি তখন অন্যদিকে মালদহের হরিশ্চন্দ্রপুরে পরিযায়ী শ্রমিকের মেয়ের বিয়ের দায়িত্ব নিল তৃণমূল। বাংলাদেশি বলে হুমকি। আতঙ্কে দিল্লি থেকে কাজ ছেড়ে চলে এসে ছিলেন বিনোদ ঋষি। কিন্তু সামনেই ছিল মেয়ের বিয়ে। কাজের যে টাকা পেতেন তাও আনতে পারেননি। বিয়ের আয়োজন কার্যত অসম্ভব হয়ে পড়ে। সেই সময় খবর পেয়েই বিয়ের সমস্ত আয়োজনের দায়িত্ব নিয়ে নিল তৃণমূল।
উদ্যোগে তৃণমূলের মালদহ জেলা পরিষদ সদস্য তথা জেলার সাধারণ সম্পাদক বুলবুল খান। ধুমধামের সঙ্গেই এক হল চার হাত। মালদহ জেলার হরিশ্চন্দ্রপুর ২ নম্বর ব্লকের শামুখা গ্রাম। পিছিয়ে পড়া প্রত্যন্ত এলাকা। বেশিরভাগ লোক পরিযায়ী শ্রমিক। এই এলাকারই বাসিন্দা বিনোদ ঋষি। বাড়িতে রয়েছে স্ত্রী বৃদ্ধ বাবা মা, দুই মেয়ে এবং এক ছেলে। দিল্লিতে ঠিকাদারের অধীনে চুক্তিভিত্তিক শ্রমিক হিসেবে কাজ করতেন।
জরাজীর্ণ ভগ্নপ্রায় বাড়ি। বাইরে কাজ করে যা উপার্জন করতেন তা দিয়ে কোনওমতে চলত সংসার। বড় মেয়ের বিয়ে ঠিক করে ছিলেন। ভেবে ছিলেন একটু বেশি কাজ করে টাকা উপার্জন করে বিয়ের আয়োজন করবেন। কিন্তু তার মাঝেই দিল্লিতে পরিস্থিতি বদলে যায়। বাংলাদেশি সন্দেহে ধরপাকর শুরু হয়। আতঙ্কে বিনোদ কাজ ছেড়ে ঘরে ফিরে আসে। যে টাকা পেতেন তাও আনতে পারেননি। পড়ে যান বিপাকে। এদিকে এগিয়ে আসছিল মেয়ের বিয়ের তারিখ।
স্থানীয় জেলা পরিষদ সদস্য বুলবুল খান জানতে পারেন। পরিবারের সঙ্গে দেখা করে তিনি জানান বিয়ের সমস্ত অনুষ্ঠানের আয়োজন তিনি করবেন। সেই মতো সব ব্যবস্থা করা হয়। বৃহস্পতিবার রাতে চার হাত এক হয়। প্রবল বৃষ্টি এবং শারীরিক অসুস্থতা সত্ত্বেও নিজের সহযোগী বন্ধুদের নিয়ে বিয়েতে অংশ গ্রহণ করে বিয়ে দেন বুলবুল। ফুটে ওঠে সম্প্রীতির বার্তাও।
তৃণমূল নেতা বলেন, “প্রয়োজন অনুযায়ী সমস্ত সাহায্য করব। আতঙ্কে বিনোদ দিল্লি থেকে চলে এসেছিলেন। ছিল না কোন টাকা। বুলবুল খান ছিলেন বলেই এই বিয়ে সম্ভব হল।” যদিও স্থানীয় বিজেপি নেতা কিষাণ পেডিয়ার বক্তব্য, এইসবই ভোটের আগে টিকিট পাওয়ার জন্য দেখানো।

