TMC Leader: ছেলেধরা সন্দেহে মহিলাকে বেধড়ক মারধর, কাঠগড়ায় তৃণমূল নেতা

Subhotosh Bhattacharya | Edited By: জয়দীপ দাস

Mar 02, 2024 | 6:27 PM

TMC Leader: ছেলেধরা সন্দেহে প্রকাশ্য রাস্তায় মহিলাকে বেঁধে রেখে মারধরের অভিযোগ। নেতৃত্বে তৃণমূল নেতা। দীর্ঘক্ষণ ল্যাম্পপোস্টে দড়ি দিয়ে বেঁধে রাখা হয়। চাঞ্চল্যকর এ ঘটনা ঘটেছে শহরের ১২ নম্বর ওয়ার্ডের পুড়াটুলি জামতলিতে।

TMC Leader: ছেলেধরা সন্দেহে মহিলাকে বেধড়ক মারধর, কাঠগড়ায় তৃণমূল নেতা
উত্তেজনা এলাকায়
Image Credit source: TV-9 Bangla

Follow Us

মালদহ: খুন, ধর্ষণ, রাহাজানি, কিছু বাদ যাচ্ছে না। সাম্প্রতিককালে মালদহের অপরাধের পরিসংখ্যান সামনে আসতেই শোরগোল পড়ে গিয়েছে গোটা রাজ্যেই। উদ্বেগ বেড়েছে প্রশাসনিক মহলে। তেইশ সালের ১৮ জুলাই বামোনগোলার পাকুয়াহাটে দুই মহিলাকে প্রকাশ্য দিবালোকে হাটের মধ্যে পুলিশের সামনেই সম্পূর্ণ বিবস্ত্র করে নির্মম মারধরের অভিযোগ উঠেছিল। ভিডিয়ো ভাইরাল হতেই তোলপাড় শুরু হয়ে গিয়েছিল রাজ্যে। এবার যেন ফের একই ঘটনার প্রতিচ্ছবি মালদহ শহরে। 

ছেলেধরা সন্দেহে প্রকাশ্য রাস্তায় মহিলাকে বেঁধে রেখে মারধরের অভিযোগ। নেতৃত্বে তৃণমূল নেতা। দীর্ঘক্ষণ ল্যাম্পপোস্টে দড়ি দিয়ে বেঁধে রাখা হয়। চাঞ্চল্যকর এ ঘটনা ঘটেছে শহরের ১২ নম্বর ওয়ার্ডের পুড়াটুলি জামতলিতে। খবর চাউর হতেই শোরগোল পড়ে যায় এলাকায়। খবর যায় পুলিশে। শেষে  ইংরেজবাজার থানার পুলিশ গিয়ে মহিলাকে উদ্ধার করে। 

সূত্রের খবর, ছেলেধরা সন্দেহে এলাকার কিছু লোকজন প্রথমে ওই মহিলাকে পাকড়াও করেন। খবর পেয়ে সেখানে আসেন স্থানীয় তৃণমূল নেতা তথা দলের জেলা সম্পাদক ছোটন মৌলিক। সঙ্গে ছিলেন বেশ কিছু তৃণমূল কর্মীও। তাঁরাও ঘটনার ছবি তোলেন বলে খবর। শেষে পুলিশ গিয়ে ওই মহিলাকে উদ্ধার করে। মহিলার নাম পরিচয় জানার চেষ্টা চলছে। জোরকদমে তদন্ত শুরু করেছে ইংরেজবাজার থানার পুলিশ। 

তৃণমূলের জেলা সম্পাদক ছোটন মৌলিক অবশ্য স্পষ্টই বলছেন, ওরা সব ছেলেধরা। হঠাৎ এখানে একজনের বাড়িতে ২ জন মহিলা ঢুকে পড়েন। বাচ্চা নেওয়ার জন্য ঝাঁপিয়ে পড়ে। বাড়ির লোকজন চেঁচামেচি করতেই ওরা পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। তখনই আমরা একজনকে ধরে ফেলি। ওকে আটকে রাখি। ওর বাড়ি কোথায়, কোথা থেকে এসেছিল বলছে না। একজনকে আমরা ধরতে পারলেও একজনকে ধরা যায়নি। এখন ওকে পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। পুলিশকে তদন্ত করে দেখতে বলা হয়েছে। তৃণমূলের নেতার ভূমিকা সামনে আসতেই তোপ দেগেছে বিজেপি। তুলনা টেনেছেন সন্দেশখালির ঘটনার সঙ্গে। মালদহের বিজেপির সহ-সভাপতি অজয় গঙ্গোপাধ্যায় বলছেন, “প্রশাসনকে খবর দেওয়ার পরেও আইন নিজেদের হাতে তুলে নেওয়া কোনওভাবেই ঠিক নয়। বেঁধে রেখে মারধরের ঘটনা অমানবিক।”

Next Article