মালদহ: ১৬ শতকের আস্ত সরকারি জলাভূমি ভরাট করে দখলের অভিযোগ এলাকার এক প্রভাবশালী ব্যক্তির বিরুদ্ধে। ঘটনার তদন্তে ভূমি ও ভূমি সংস্কার দফতর। বর্ষার মরশুমে সম্পূর্ণ বিপর্যস্ত এলাকার নিকাশি ব্যবস্থা। অভিযোগ উঠেছে মালদার চাঁচল ২ ব্লকের মালতীপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের কাশীপাড়া মৌজায়। এলাকার নিকাশির জল ধারণের সেই ডোবাটি ভরাট করায় নিকাশ ব্যবস্থা বন্ধ হয়ে পড়েছে। বর্ষায় রাস্তার আনাচে কানাচে জল জমে দুর্ভোগে পড়েছেন বাসিন্দারা। সরকারি ডোবা পুনরুদ্ধারের দাবি জানিয়েছেন তাঁরা। এনিয়ে ভূমি ও ভূমি সংস্কার দফতরে অভিযোগ জানানো হয়েছে। তদন্ত করে জায়গা দখল মুক্তের আশ্বাস দিয়েছেন সংশ্লিষ্ট দফতরের আধিকারিক।
কাশীপাড়ায় শতাধিক পরিবারের বসবাস।গ্রামের শেষ প্রান্তে এককালীন ডোবা ছিল।এলাকার নিকাশির জল সেখানেই গিয়ে পড়ত। বর্তমানে প্রভাব খাটিয়ে মাটি ভরাট করে ডোবা বুজিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ।ওই এলাকার শিবনাথ দাস জায়গাটি দখলে নিয়ে সেখানে সবজি চাষ করছেন। ভূমি ও ভূমি সংস্কার দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, কাশীপাড়া মৌজার ওই এলাকায় সরকার পক্ষের ১ নং খতিয়ানে ১৬ শতক জমি ডোবা বলে চিহ্নিত রয়েছে। স্থানীয় বাসিন্দা পম্পু প্রামাণিক বলেন, “বাড়ির জল রাস্তায় পড়ছে। বৃষ্টিতে জল থই থই করছে রাস্তায়। আগে সেখানেই জল নিকাশ হয়ে যেত। সেটি পুনরুদ্ধার হলে সবাই উপকৃত হবে।”
অভিযোগকারী আদিত্য নারায়ণ দাসের কথায়, “প্রভাব খাটিয়ে সরকারি জমি দখল করা হয়েছে।মাটি ভরাটকালীন এলাকার মানুষজন ভয়ে কেউ প্রতিবাদ করেননি।বর্ষায় নিকাশির জল আটকে গ্রামের রাস্তায় জমে থাকছে। ডোবা পুনরুদ্ধার ও দখলমুক্তের দাবি জানিয়ে প্রশাসনের দ্বারস্থ হয়েছি।”
যদিও সরকারি জায়গা দখলের অভিযোগ উড়িয়ে শিবনাথ দাস দাবি করেন, “ষড়যন্ত্র করে অভিযোগ আনা হচ্ছে। এই জায়গাটি কয়েকবছর আগে কিনে নিয়েছি।প্রশাসনের কাছে নিরপেক্ষ তদন্তের দাবি জানাচ্ছি।” অভিযোগের ভিত্তিতে ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে বলে জানান চাঁচল মহকুমা ভূমি ও ভূমি সংস্কার দপ্তরের আধিকারিক পীযুষ কান্তি বন্দ্যোপাধ্যায় ।