মালদহ: কালোবাজারি, গোপনে পাচারের অভিযোগ। ১০ জন সারের ডিলারকে শোকজ করল কৃষি দফতর। দু’জনের লাইসেন্স বাতিলের প্রক্রিয়া শুরু। সারের কালোবাজারি রুখতে কোমর বেঁধে নামল কৃষি দফতর। আর সেক্ষত্রে দফতরের কিছু কর্মীর ওপরেও নজর রাখা হচ্ছে, যাঁদের বিরুদ্ধে এই কালোবাজারিতে মদত দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে। প্রয়োজনে তাঁদের বিরুদ্ধেও কড়া পদক্ষেপ করা হবে, জানিয়েছেন আধিকারিকরাই। সরকার নির্ধারিত মূল্যের সার গোপনে পাচারের সময় পুলিশকে নিয়ে আটকও করেছে কৃষি দফতর। একটি পুরাতন মালদহে এবং একটি গাজোলে। বস্তা বস্তা সেই সার ট্রাক ভর্তি।
সরকারি নির্দেশকে মূলত বুড়ো আঙুল দেখিয়ে এক শ্রেণির সার ব্যবসায়ীরা চড়া দামে সার বিক্রি করছে বলে অভিযোগ। যার ফলে সমস্যায় পড়েছেন কৃষকরা। সারের এই কালোবাজারি বন্ধ না হলে বৃহত্তর আন্দোলনের ডাক দিয়েছেন কৃষকরা। শীতের মরসুমে আলু চাষে প্রয়োজন অধিক পরিমাণ রাসায়নিক সার, আর সেই সার বিক্রি করা নিয়ে কালোবাজারির অভিযোগ উঠেছে। গাজোল এবং পুরাতন মালদহ ব্লকের আলু চাষিরা রীতিমতো সমস্যায় পড়েছেন।
কৃষকদের অভিযোগ, আলু চাষের ক্ষেত্রে রাসায়নিক সার হিসেবে এনপিকে বা ২৬২৬ সারের চাহিদা বেশি যার ফলে সরকারি নির্ধারিত, যা দাম ১৪৭০ টাকা, সেই সার বাজারে কিছু অসাধু সার ব্যবসায়ীরা ৫০০ টাকা বেশি দামে বিক্রি করছে। সরকারি সরকারের নির্ধারিত মূল্যকে মানা হচ্ছে না।
এই বিষয়ে কৃষি দফতরকে অভিযোগও জানানো হয়েছে।এরপরেই পুলিশের সাহায্য নিয়ে কালোবাজারি রুখতে মাঠে নামে কৃষি দফতর। চলছে অভিযান।