মালদহ: বিয়ের দুবছরের মধ্যেই স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে অশান্তির লেগেই থাকত। স্ত্রীর পরকীয়া রয়েছে এই সন্দেহ হামেশাই মনে উঁকি দিত স্বামীর। রাগের বশে নিজের স্ত্রী-র গোপন ছবিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল করে দিয়েছিল বলে অভিযোগ উঠেছিল যুবকের বিরুদ্ধে। এত সব কিছুর পর শেষে এমন শিউরে ওঠার মতো ঘটনা ঘটবে কেউ হয়ত ঠাউর করতে পারেনি। রেললাইনের ধার থেকে উদ্ধার হল যুবকের মুণ্ডহীন দেহ। কারা খুন করল তাঁকে? শ্বশুরবাড়ির লোকের কি আক্রোশে পড়ে গিয়েছিলেন তিনি? এখন এইসবই মাথা চাড়া দিচ্ছে পুলিশকে।
ঘটনার সূত্রপাত…
পুলিশ সূত্রে খবর, মৃত যুবকের নাম কাজিরুল ইসলাম (২৫)। তাঁর বাড়ি মালদহের হরিশ্চন্দ্রপুর থানার অন্তর্গত কনকনিয়া রেলগেটের কাছে। আজ সকালে রেললাইনে কাজিরুলের মুণ্ডহীন দেহ উদ্ধার হয়। স্থানীয় বাসিন্দাদের একাংশের নজরে আসতেই খোঁজ দেওয়া হয় রেল পুলিশ ও হরিশচন্দ্র থানার পুলিশকে। খবর যায় মৃতের বাড়ির লোকের কাছেও। তাঁরা এই ঘটনার পিছনে যুবকের শ্বশুর বাড়ির লোকজনকেই দায়ী করেছে।
জানা গিয়েছে, কাজিরুলের সঙ্গে দুবছর আগে বিয়ে হয় জাসমিনারা খাতুনের। তবে স্বামীর অভিযোগ, স্ত্রীর অন্যত্র সম্পর্ক ছিল। এই নিয়েই বিবাদ চলছিল। তার স্ত্রী বাবার বাড়িতেই থাকতেন। ওই যুবক নিজের স্ত্রীর অশ্লীল ছবি ভাইরাল করে দেওয়ায় জেল খাটতে হয়েছিল তাঁকে। এরপর থেকে সম্পর্ক আরও তলানিতে ঠেকে।
এরপর গতকাল এলাকার একটি জলসায় গিয়েছিল ওই যুবক। পরিবারের দাবি, ওই এলাকাতেই জাসমিনারার মামা বাড়ি। অভিযোগ, তাঁরাই প্রতিহিংসার বশে ওই যুবককে খুন করেছে। গোটা ঘটনার তদন্ত করছে পুলিশ। মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট এলে মৃত্যুর কারণ স্পষ্ট হবে।