মালদা: অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে ওজনে কম ও পচা আলু দেওয়ার অভিযোগ। তৃণমূলের মহিলা পঞ্চায়েত প্রধানকে মারধরের অভিযোগ। ঘটনাকে ঘিরে উত্তেজনা মালদার (Maldah) হরিশ্চন্দ্রপুরে। রাস্তায় আলু ফেলে বিক্ষোভ অঙ্গনওয়াড়ি কর্মীদের। ঘটনাস্থলে পুলিশ।
স্থানীয় সূত্রে খবর, হরিশচন্দ্রপুর ২ ব্লক মশালদহ গ্রাম পঞ্চায়েতের মোহনপুর গ্রামে অঙ্গনওয়াড়িতে রেশন দেওয়া চলছিল। উপভোক্তারা অভিযোগ করেন তাঁদের আলু ওজনে কম দেওয়া হচ্ছে। তা নিয়ে উপভোক্তা ও অঙ্গনওয়াড়ি কর্মীদের মধ্যে বচসা শুরু হয়। উপভোক্তাদের কাছে নালিশ শুনে অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে যান শাসক দলের গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান।
সেই সময় বিক্ষোভের মুখে পড়েন গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধানও। তাঁকে মারধর করা হয় বলেও অভিযোগ ওঠে। রাস্তায় আলু ফেলে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন স্থানীয় বাসিন্দারাও। আইসিডিএস দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই কেন্দ্রে শিশু ও মহিলা মিলিয়ে শতাধিক উপভোক্তা রয়েছেন। স্কুলে মিড ডে মিলের রান্না করা খাবারের বদলে তাদের সামগ্রী দেওয়া হয়।
ফেব্রুয়ারিতে উপভোক্তাদের একসঙ্গে তিন মাসের জন্য মাথা পিছু ৬ কিলোগ্রাম করে আলু দেওয়ার কথা। এদিন ইলেকট্রনিক মেশিনে আলু মেপে দেওয়া হচ্ছিল। কিন্তু পরে উপভোক্তারা পচা আলু দেওয়ার অভিযোগ তোলেন।
উপভোক্তা বিক্ষোভকারী আনোয়ারা খাতুন বলেন, “আমাদের তিন জনের জন্য ১৮ কিলোগ্রাম আলু পাওয়ার কথা। কিন্তু দেওয়া হয় ১১ কিলোগ্রাম।”
মশালদহের প্রধান নীলুফার বলেন, “উপভোক্তারা বাড়িতে এসে বলায় কেন্দ্রে গিয়ে বিষয়টি জানতে চাই। কথাবার্তার সময় অঙ্গনওয়াড়ি কর্মী ও তাঁর স্বামী আমার গলা চেপে ধরে, শ্বাসরোধ করে প্রাণে মারার চেষ্টা করে। গলায় এখনও নখের চিহ্ন রয়েছে।” থানায় অভিযোগ জানানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: মোদীর সভার আগে নন্দীগ্রামে বিজেপি কর্মীদের উপর ‘হামলা’, নন্দকুমারে ছিঁড়ল ফ্লেক্স
হরিশ্চন্দ্রপুর-২ ব্লকের বিডিও পার্থ দাস বলেন, “কী হয়েছে খোঁজ নিচ্ছি। পরিমাণে কম ও খারাপ আলু দেওয়া হলে তা খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।” ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন মালদা জেলা পরিষদের শিশু-নারী ও ত্রাণ দফতরের কর্মাধ্যক্ষ মর্জিনা খাতুন। তিনি বলেন, “প্রধান একজন জনপ্রতিনিধি। এলাকার খোঁজ রাখা তাঁরও দায়িত্বে পরে। তবে অঙ্গনওয়াড়ি কর্মীর অভব্য আচরণ কাম্য নয়।”