মালদহ: বাড়িতে ঢুকে গোটা পরিবারকে হেনস্থা। শুধু তাই নয়, ওই পরিবারের প্রৌঢ়াকে মারধর। তাঁকে শ্লীলতাহানি করে ঘরছাড়া করার অভিযোগ। দিনের পর দিন অত্যাচার। টানা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকার পর আর ঘরে ফিরতে পারছে না এই পরিবার। ঘরে ঢুকলেই হুমকি-হামলা। কাঠগড়ায় তৃণমূল নেতা তথা তৃণমূল পঞ্চায়েতের সদস্য।
ঘটনাটি ঘটেছে মালদহ ইংরেজবাজার থানা এলাকার যদুপুর ১ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের গোবিন্দপুর গ্রামের । ঝামেলার সূত্রপাত,পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে। অভিযোগ, ভোট দেওয়ার জন্যে হামলা ভয় দেখানো হয়। সন্তানের মাথায় হাত রাখিয়ে প্রৌঢ়াকে সকলের সামনে শপথ নেওয়া হয়, যাতে তাঁরা তৃণমূলের পক্ষে ভোট দেন। ভোটের পরেও অত্যাচার চলে। সর্ব জনসমক্ষে ঘর থেকে হিঁচড়ে টেনে এনে সেই সন্তানের মাথায় হাত রাখিয়ে জানতে চাওয়া হয় তাঁরা কাকে ভোট দিয়েছে। এরপরেও অত্যাচার থামেনি। ঘরছাড়া নির্যাতিত এই পরিবারের অভিযোগ তাঁরা গরিব। যেটুকু জায়গা ঘর রয়েছে এলাকার নেতা সেটাই দখল করে নিতে চায়। তাঁদের গ্রাম ছাড়া করতে চায়।
নির্যাতিতা মহিলা বলেন, “আমরা গরিব। আমাদের কেউ নেই। তাই জন্যই এমন করে। আমি বলেছিলাম চার ছেলের দিব্যি রইল আমি তৃণমূলকেই ভোট দেব। তোরা হামলা করিস না। তারপরও অত্যাচার থামেনি। গালিগালাজ করেছে। এরপর ভোটের পর থেকে আবার মারধর করেছে। এখন সকলের সামনে বলেছে আমরা নাকি ভোট দিইনি। তারপর দিব্যি দিয়ে বললাম ভোট দিয়েছি। তারপরও মারছে।” গোটা ঘটনা অস্বীকার করেছেন অরুণ মণ্ডল। তিনি বলেন, “ওরা বাড়াবাড়ি করছে। আমি পঞ্চায়েত সদস্য হয়েছি বলে ওদের রাগ আমাদের উপর। কেন জানি না। মিথ্যে কথা বলছে। আসলে ওরা জায়গা দখল করে রেখেছে।”