মালদহ: সদ্যোজাত কন্যা সন্তানকে অন্যের বাড়ির সামনে ফেলে চলে গেলেন মা।পুলিশ সেই সদ্যোজাতকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করেছে। চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে হরিশ্চন্দ্রপুর থানার বিতোল গ্রামে। অভিযোগ ছিল, কয়েক মাস আগে হরিশ্চন্দ্রপুর থানা এলাকার বিতল গ্রামের এক অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মচারী তাঁর পরিচারিকা বুধন বিবিকে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে একাধিকবার শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন করেন। এই নিয়ে অবসরপ্রাপ্ত ওই সরকারি কর্মচারীর বিরুদ্ধে হরিশ্চন্দ্রপুর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়েরও করেন ওই পরিচারিকা। তার কয়েক মাস কাটতে না কাটতেই ওই পরিচারিকা এক কন্যা সন্তান প্রসব করেন।
ওই মহিলার দাবি, সন্তানটি ওই অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মচারীর। কিন্তু ওই কর্মচারী কোনওমতেই কন্যা সন্তানকে পিতৃত্বের পরিচয় দিতে নারাজ। প্রতিবেশীদের দাবি, বুধবার ভোরে ওই মহিলাই অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মচারীর বাড়ির সামনে তাঁর নবজাতক কন্যা সন্তানটিকে ফেলে দিয়ে চলে যান। আর এই ঘটনা সামনে আসতেই চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে হরিশ্চন্দ্রপুর থানা এলাকা জুড়ে।
ঘটনার খবর পেয়ে এলাকায় যায় হরিশ্চন্দ্রপুর থানার পুলিশ। অভিযুক্ত অবসরপ্রাপ্ত কর্মচারীর বাড়ির সামনে থেকে ওই নবজাতক কন্যা সন্তানকে উদ্ধার করে তারা হরিশ্চন্দ্রপুর হাসপাতালে পাঠায়।
জানা গিয়েছে, বিতল গ্রামের বাসিন্দা নির্যাতিতা মহিলার স্বামী প্রায় দুই বছর ধরে ভিন রাজ্যে কর্মরত। অভাবের সংসার। দুই মেয়ে ও এক ছেলেকে নিয়ে এলাকারই ওই অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মীর বাড়িতে পরিচারিকার কাজ করে কোনওরকমে দিন গুজরান করতেন ওই মহিলা। অভিযোগ, বিয়ের প্রতিশ্রুতি ও টাকার প্রলোভন দেখিয়ে মহিলার সঙ্গে একাধিকবার যৌন সম্পর্ক স্থাপন করেন ওই ব্যক্তি।
তিনি পাঁচ মাসের অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়েন। সে সময় ওই মহিলা ওই ব্যক্তিকে চাপ দিলে বিয়ে করতে অস্বীকার করেন। এই অবস্থায় ওই মহিলা ওই কন্যা সন্তানকে ওই ব্যক্তির বাড়ির সামনে রেখে দিয়ে চলে যান। ঘটনার কথা ছড়িয়ে পড়তে এলাকায় জড়ো হন গ্রামের মানুষ। খবর দেওয়া হয় হরিশ্চন্দ্রপুর থানায়। ঘটনার পর থেকে পলাতক অভিযুক্ত।