মালদহ: OMR শিটে ‘কারচুপি’। অবৈধভাবে স্কুলে চাকরি পাওয়ার অভিযোগ। স্কুল সার্ভিস কমিশনের প্রকাশিত ৯০৭ জন শিক্ষকের নামের তালিকায় রয়েছেন তিনিও। কাঠগড়ায় এবার মালদহের তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক শামসুদ্দিন আহমেদ। তাঁর স্ত্রী আবার জেলা পরিষদের জয়ী প্রার্থী। তাঁর বিরুদ্ধেও অবৈধভাবে জয়ী হওয়ার অভিযোগ তুলে মামলা করেছে কংগ্রেস। আর এই ঘটনাকে ঘিরে রাজনৈতিক শোরগোল মালদহে। যদিও এই সব অভিযোগ মানতে নারাজ তৃণমূল নেতা।
জানা গিয়েছে, শামসুদ্দিন আহমেদ মালদহ জেলা তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক। তিনি কালিয়াচক ৩ ব্লকের গোলাপগঞ্জ হাইস্কুলের শিক্ষক। তাঁর স্ত্রী সারিকা খাতুন মোথাবাড়ি ৩৭ নম্বর আসনের জেলা পরিষদের জয়ী প্রার্থী। শামসুদ্দিনের বিরুদ্ধে অবৈধ উপায়ে চাকরি পাওয়ার অভিযোগ উঠেছে। সম্প্রতি OMR শিট নিয়ে কারচুপির অভিযোগে কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশ মোতাবেক ৯০৭ জন কর্মরত একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষকের নামের তালিকা প্রকাশ হয়েছে। বুধবার স্কুল সার্ভিস কমিশন শুধুমাত্র ৯০৭ জনের নাম ও রোল নম্বর প্রকাশ করেছে। TV9 বাংলার হাতে এসেছে সেই নথি, যেখানে ওই তালিকায় জ্বলজ্বল করছে তৃণমূল নেতা শামসুদ্দিনের নাম।
যদিও শামসুদ্দিনের বক্তব্য, তিনি লিখিত পরীক্ষার পর ইন্টারভিউ দিয়ে, সমস্ত নথি জমা দিয়েই চাকরি পেয়েছেন। তাঁর কথায়, “আমি রীতিমতো পরীক্ষা দিয়ে, সব প্রসেস ফলো করে চাকরি পেয়েছি। ২০১৮ সাল থেকে আমি তৃণমূল করছি। ২০১৬ সালে পরীক্ষা দিয়েছিলাম। আর ২০১৮ সালের সেপ্টেম্বর মাসে চাকরিতে যোগ দিয়েছি। যা অভিযোগ, সবই ভিত্তিহীন।”
এদিকে, শামসুদ্দিনের স্ত্রীও পঞ্চায়েত নির্বাচনে জয়ী হয়েছেন। কিন্তু তিনি কারচুপি করে জয়ী হয়েছেন বলে অভিযোগ। তা নিয়ে নির্বাচন কমিশনের কাছে তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগও জমা করেছিলেন বিরোধীরা। পুরো বিষয়টাই হাইকোর্টে বিচারাধীন।
কালিয়াচকের যুব কংগ্রেস কার্যকরী সভাপতি আক্তারুজ্জামান বলেন, “কারোর ব্যক্তিগত বিষয় নিয়ে বলতে চাই না। তবে এখানে জনস্বার্থ জড়িয়ে। ওঁ তৃণমূল নেতা। আমি তালিকা দেখলাম। সেখানে ওঁর নাম রয়েছে ৬১২ নম্বর। সাদা খাতায় চাকরি পেয়েছেন। তৃণমূল আর চোর এখন সমর্থক। এটা তার প্রমাণ।” এখনও পর্যন্ত এই নিয়ে তৃণমূলের তরফে কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।