মালদা: চলতি মাসেই মালদায় প্রশাসনিক বৈঠক করবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায় (Mamata Banerjee)। আগামী ৩১ জানুয়ারি হবে মালদা জেলার প্রশাসনিক বৈঠক। অতীতে অডিটোরিয়াম বা ইন্ডোরে বৈঠক হলেও এবার প্রশাসনিক বৈঠক হবে মালদার গাজোলে খোলা মাঠে। প্রতিবারের মতো প্রশাসনিক আধিকারিক ও জনপ্রতিনিধিরা তো থাকবেনই, এর পাশাপাশি আরও অনেক মানুষ, যাঁরা রাজ্যের বিভিন্ন প্রকল্পের সঙ্গে জড়িত, তাঁরাও থাকবেন বৈঠকে। উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন দফতরের প্রতিমন্ত্রী সাবিনা ইয়াসমিন জানাচ্ছেন, মুখ্যমন্ত্রীর ইচ্ছা তিনি উপভোক্তাদের হাতে নিজেই হয়ত বিভিন্ন প্রকল্পের চেক তুলে দেবেন কিংবা সাইকেল বিতরণ করবেন। সেই কারণেই বেশি জায়গায় প্রয়োজন এবং তাই খোলা মাঠে করা হচ্ছে প্রশাসনিক বৈঠক।
প্রসঙ্গত, রাজ্যে পঞ্চায়েত ভোটের আগে একাধিক জেলায় বিভিন্ন প্রকল্পের কাজে দুর্নীতি ও বেনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। মালদা জেলাও তার ব্যতিক্রম নয়। এমন অবস্থায় মুখ্যমন্ত্রীর এই প্রশাসনিক সভা ঘিরে তটস্থ জেলার সব তৃণমূল নেতারা। ‘দিদির দূত’ হয়ে গ্রামে-গঞ্জে গেলেই স্থানীয় বাসিন্দাদের বিক্ষোভের মুখে পড়তে হচ্ছে তাঁদের। মুখ্যমন্ত্রীর প্রশাসনিক বৈঠকে সেই সব বিষয়গুলি উঠে আসার সম্ভাবনা একেবারে উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না। অন্তত এমনই মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।
জেলার রাজনৈতিক মহলে কানাঘুষো শোনা যাচ্ছে, শাসক দলের অনেক নেতাই নাকি এই প্রশাসনিক বৈঠক ঘিরে বেশ চাপে আছেন। বিষয়টিকে নিজেদের মতো করে ব্যাখ্যা দেওয়ার চেষ্টা চালাচ্ছেন তাঁরা। এর পাশাপাশি আবার শাসকের গোষ্ঠীকোন্দলের অভিযোগও রয়েছে। এমন অবস্থায় তাই মুখ্যমন্ত্রীর সফরের আগে প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছে জেলার নেতৃত্ব। বার বার নিজেদের মধ্যে বৈঠকে বসছেন তাঁরা। কখনও জেলা কার্যালয়ে, তো আবার কখনও অডিটোরিয়াম ভাড়া করে।
বিশেষ করে একশো দিনের কাজের ক্ষেত্রে মালদায় উল্লেখযোগ্যভাবে বেনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। যদিও রাজ্যের মন্ত্রী সাবিনা ইয়াসমিন বলছেন, এটি একটি রাজনৈতিক চক্রান্ত। তাঁর ব্যাখ্যা, “একশো দিনের কাজে যে সমস্যাগুলি দেখা দেয়, সেগুলি কি শুধু পশ্চিমবঙ্গে? অন্যান্য রাজ্যে কি সেগুলি খুব ভাল ভাবে কাজ করা হয়েছে? তবুও পশ্চিমবঙ্গ সরকার চেষ্টা করে দুর্নীতিমুক্তভাবে কাজ করার।”