মালদা : হোটেলে কাজ করে কোনওরকমে চলে দিন। উপার্জন কমে আসায় ছেড়ে গিয়েছে স্ত্রী। বাড়তি লাভের আশায় লটারি (Lottery Ticket) কাটতেন অনেকদিন থেকেই। তবে কখনও ৫০০ তো কখনও হাজার। গত তিন বছর ধরে রয়েছে লটারি কাটার অভ্যাস। সর্বোচ্চ ১২ হাজার টাকা জিতেছেন এই লটারি কেটে? তাই বলে একেবারে ১ কোটি (1 Crore Lottery)? খবর শুনে প্রথমে বিশ্বাসই করতে পারেননি মালদার (Malda) বৈষ্ণবনগরের লক্ষ্মীপুর চন্দ্রমোহন টোলা এলাকার সঞ্জিত মণ্ডল। বিস্ময়ে চোখ ছানাবড়া হয়ে যায় তাঁর। খবর চাউর হতেই শোরগোল পড়ে যায় গোটা এলাকায়। তাঁকে দেখতে তাঁর বাড়িতে ভিড়ও জমান অনেকে। আর তাতেই আরও বাড়ে ভয়।
ভাগ্য বদলানোর তাগিদেই সম্প্রতি লটারি কেটেছিলেন সঞ্জিতবাবু। কিন্তু, তাঁর কাটা টিকিটেই যে একেবারে ১ কোটি পড়বে তা স্বপ্নেও ভাবতে পারেননি। কোটি টাকা জেতার খবর জানতে পেরেই তাই সোজা যোগাযোগ করেন পুলিশের সঙ্গে। খবর যায় বৈষ্ণবনগর থানায়। শেষ পর্যন্ত নিরাপত্তার কারণে তাঁকে নিয়ে আসা হয় বৈষ্ণবনগর থানায়। এখন এত টাকা নিয়ে কী করেন একাকী সঞ্জীত তা ভেবে কূলকিনারা পাচ্ছেন না। বর্তমানে রয়েছেন পুলিশি নিরাপত্তাতেই।
সঞ্জিতবাবু জানান, “আগে অনেকবার লটারি কেটেছি। অল্প কিছু টাকাও পেয়ছিলাম। তিন বছর ধরে লটারি কাটছি। সর্বোচ্চ ১২ হাজার টাকা পেয়ছিলাম। তবে আজ ১ কোটি টাকা পেয়েছি। বাড়িতে আমি এখন একাই থাকি। এদিন এত টাকা জেতার খবর শুনে ভয় পেয়ে যাই। ততক্ষণে অনেকেই আমার সঙ্গে দেখা করতে আসতে শুরু করেছে। আরও চিন্তা বাড়ে। তারপরেই পুলিশের দ্বারস্থ হয়েছি।” প্রসঙ্গত, এই ঘটনা প্রথম নয়। সম্প্রতি বাংলার বুকে কোটি টাকার লটারি জিতে ভাগ্যের চাকা এক নিমেষে অন্যদিকে ঘুরতে দেখা গিয়েছে অনেকেরই। তালিকায় রয়েছেন রাজমিস্ত্রি থেকে সাধারণ খেটে খাওয়া বহু মানুষ। এবার ভাগ্য বদলালো মালদার সঞ্জীতের।