Malda: ভিনরাজ্যে কাজে গিয়েই উধাও একের পর এক বাংলার পরিযায়ী শ্রমিকরা
Malda: অন্যদিকে একই রকম ভাবে মালদার মানিকচক ব্লকের ধরমপুর এলাকার বাসিন্দা ইন্দ্রনীল ঝা। উত্তর প্রদেশের কানপুরে কাজে যায়। ইন্ডিয়ান অয়েলের অ্যাসিস্ট্যান্ট ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে কাজ করত সে। ১৯ এপ্রিল ১০ দিনের ছুটি নিয়ে বাড়ি ফিরে আসার কথা তার।

মালদহ: ভিন রাজ্যে কাজে গিয়ে নিখোঁজ মালদহের তিন যুবক। তিনটি ভিন্ন ঘটনা প্রকাশ্যে এসেছে। দুঃশ্চিন্তায় পরিবার। নিখোঁজদের পরিবার সূত্রে খবর, উত্তর প্রদেশের কানপুর, দিল্লি ও বিহারের পাটনায় কাজে গিয়ে আর সন্ধান মিলছে না তাদের।
মালদহর ইংরেজবাজার ব্লকের যদুপুর দুই নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের রায় পাড়া এলাকার বাসিন্দা শিবাই রায়। বাবা মারা যাওয়ার পর পরিবারের সমস্ত দায়িত্ব তাঁর কাঁধে এসে পড়ে। সেই তাগিদেই ভিন রাজ্যে পাড়ি দেন ওই যুবক। গত ১৫ দিন আগে বিহারের পাটনায় কাজে গিয়েছিলেন তিনি। পরিবারের দাবি, সেখানে কাজ করার সময় তাঁর মোবাইল ফোন হারিয়ে যায়। এরপর ১০০ টাকা ধার করে গত শনিবার সকালে বাড়ি ফিরে আসার কথা জানায় সে। যেখানে একদিনে বাড়ি পৌঁছে যাওয়ার কথা সেখানে চার চার দিন কেটে গেলেও এখনও খোঁজ নেই শিবাইয়ের। এই নিয়ে দুশ্চিন্তায় গোটা পরিবার। এই মর্মে ইংরেজবাজার থানায় লিখিত অভিযোগ করতে গেলে জানানো হয় যেখান থেকে নিখোঁজ হয়েছে সংশ্লিষ্ট থানায় লিখিত জানাতে। নিখোঁজের পরিবারের সদস্য বলেন,”আমার ছেলে বাইরে থাকে। ওর বন্ধুরা বলছে কয়েকদিন ধরে ও ফোন পাচ্ছিল না। সেই কারণে মন খারাপ ছিল ওর। এরপর ও নাকি বন্ধুদের বলেছিল বাড়ি ফিরে আসবে। কিন্তু ফেরেনি। তারপর থেকেই নিখোঁজ।”এমতাবস্থায় হন্যে হয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছে পরিবার। নিখোঁজ হওয়া পরিবারের পাশে দাঁড়িয়েছেন স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্য অরবিন্দ দাস।
অন্যদিকে একই রকম ভাবে মালদার মানিকচক ব্লকের ধরমপুর এলাকার বাসিন্দা ইন্দ্রনীল ঝা। উত্তর প্রদেশের কানপুরে কাজে যায়। ইন্ডিয়ান অয়েলের অ্যাসিস্ট্যান্ট ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে কাজ করত সে। ১৯ এপ্রিল ১০ দিনের ছুটি নিয়ে বাড়ি ফিরে আসার কথা তার। কানপুরের গঙ্গাঘাট বাস স্ট্যান্ডে নেমে টোটোতে করে রেল স্টেশনের উদ্দেশ্যে রওনা হয়েছিল ওই যুবক। সেই সময় মায়ের সঙ্গে শেষ কথা হয়েছিল তারপর থেকে নিখোঁজ ওই যুবক। পরিবারের সদস্যকে ফিরে পেতে সেখানকার পুলিশের সাথে যোগাযোগ করা হলে সেই রকম ভাবে সহযোগিতা করা হয়নি বলে অভিযোগ। ঘটনার একমাস কেটে গেলেও পরিবারের নিখোঁজ হওয়া সদস্যের কোনো খোঁজ পাওয়া যায়নি এখনো। দুশ্চিন্তায় পরিবার। নিখোঁজ যুবকের মা বলেন, “ছেলেকে খুঁজে না পেলে তার জন্য দায়ী থাকবে যোগী সরকারের পুলিশ। ঠিক একইভাবে নিখোঁজ যুবকের বাবাও কানপুরের পুলিশকে দোষারোপ করেন। পুলিশ সঠিকভাবে সহযোগিতা করলে আমার ছেলে বাড়িতে থাকত।”
ঠিক একই রকম ভাবে, মালদার রতুয়ার পুখুরিয়া এলাকার বাসিন্দা শেখ আইবুল বিগত একমাস আগে দিল্লি পাড়ি দিয়েছিল কাজে। তার বাকি সঙ্গীরা বাড়ি ফিরে এলেও কোন খোঁজ মেলেনি শেখ আইবুলের। এই ঘটনায় শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা। তৃণমূলের অভিযোগ একশো দিনের কাজের টাকা বন্ধ করে দিয়েছে বিজেপি। আর তার কারণেই এই ধরনের ঘটনা ঘটছে। এই রাজ্যে কাজ দিতে ব্যর্থ সরকার। ১০০ দিনের কাজের টাকা নয় ছয় করেছে তৃণমূল। আর তার কারণে কাজের জন্য ভিন রাজ্যে যাচ্ছে যুবকরা এটা স্বাভাবিক।





