মালদহ: সিপিআইএম, কংগ্রেসের নেতা কর্মীদের গ্রামে একঘরে করার নিদান। সামগ্রিকভাবে সমাজ থেকে বয়কট করা এমনকি গ্রাম ছাড়া করার নিদান দিলেন মালদহের জেলা সভাপতি তথা বিধায়ক আব্দুর রহিম বক্সি। যা নিয়েই জোর শোরগোল শুরু হয়ে গিয়েছে জেলার রাজনৈতিক মহলে। এদিন মালদহের হরিশ্চন্দ্রপুরে তৃণমূলের ১বি ব্লকের কনভেনশনের মঞ্চ থেকে এ কথা বলেন তিনি। তবে এদিনের এই কনভেনশনে কর্মীদের জমায়েত ছিল চোখে পড়ার মতো। আব্দুর রহিম বক্সির সঙ্গেই এদিন মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন জেলা তৃণমূল চেয়ারম্যান তথা রতুয়ার বিধায়ক সমর মুখোপাধ্যায়, রাজ্যের মন্ত্রী তজমুল হোসেন সহ জেলার নেতারা। সেখানেই আব্দুর রহিমের মন্তব্যে উঠেছে বিতর্কের ঝড়।
এদিন মঞ্চ থেকেই রীতিমতো হুঁশিয়ারির সুরে তিনি বলেন, “কেন্দ্রের বিজেপি সরকার একশোদিনের টাকা, আবাস যোজনার টাকা বন্ধ করেছে। সিপিএম, কংগ্রেস এগুলো নিয়ে একবারও বলে না। পক্ষান্তরে তাঁরা কেন্দ্রে থাকা মোদী সরকারকে সমর্থন করছে। ওই সমস্ত বেইমান সিপিএমদের চিহ্নিত করে গ্রাম ছাড়া করার চেষ্টা করতে হবে। গ্রামে বয়কট করার চেষ্টা করতে হবে। যে সমস্ত কংগ্রেসীরা গরিব মানুষের পাশে দাঁড়ায় না, মমতার উন্নয়নের কাজে বাধা দেওয়ার চেষ্টা করছে তাঁদের চিহ্নিত করতে হবে।”
সামনেই লোকসভা নির্বাচন। হাতে আর খুব বেশি সময় নেই। সলতে পাকানোর কাজটা শুরু হয়েছিল গত বছর থেকেই। এখন শেষবেলার প্রচারে কোমর বেঁধে ঝাঁপাচ্ছেন শাসক থেকে বিরোধী, সব দলের নেতা কর্মীরাই। সেখানে আব্দুর রহিম বক্সির এ মন্তব্যে তপ্ত রাজ্য-রাজনীতির আঙিনা। পাল্টা সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তী বলছেন, “যাঁরা এই ধরনের কথা বলেন তাঁরা তো সমাজবিরোধী। সমাজ বিরোধীদের নেতা হচ্ছে জেলা সভাপতি। বিজেপির হাল ভাল না, তৃণমূল প্রকারান্তরে বিজেপিকে সাহায্য করছে। এটা সবাই বুঝতে পারছে।”