মালদহ: তৃণমূল সাংসদ তথা তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের লোকসভা কেন্দ্রে প্রার্থী হচ্ছেন ভাঙড়ের বিধায়ক তথা আইএসএফ নেতা নওসাদ সিদ্দিকি। ডায়মন্ড হারবারে প্রার্থী হয়ে সেখানকার অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে হারানোর চ্যালেঞ্জ আইএসএফ বিধায়কের। ইতিমধ্যেই অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের অনুগামী তৃণমূল নেতারা তাঁর সাথে যোগাযোগ রাখছেন বলে দাবি আইএসএফ নেতার। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় নিশ্চিত হারছেন বলেই আত্মবিশ্বাসী তিনি।
শুধু তাই নয়, একই সঙ্গে কাঁথি এবং তমলুকে যদি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রার্থী হন তাহলে যে পরাজিত হবেন তিনি। সেই বিষয়েও নিশ্চিত নওশাদ সিদ্দিকি। রবিবার টিভি ৯ বাংলাকে দেওয়া একান্ত সাক্ষাৎকারে নওশাদ সিদ্দিকি বলেন, “আমি ডায়মন্ড হারবারের বর্তমান সাংসদকে প্রাক্তন সাংসদ বানাবো। দল অনুমোদন দিলে আমি ডায়মন্ড হারবার থেকে লোকসভা ভোটের জন্য লড়াই করব। বলা হয় ডায়মন্ড হারবার মডেল। তবে পঞ্চায়েত ভোটের সময় আমরা দেখতে পেলাম ডায়মন্ড হারবার মডেল কী?”
শনিবার পূর্ব মেদিনীপুরে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী একই দাবি করেছিলেন। এবার তাঁর সুরেই সুর মেলাতে শোনা গেল ইন্ডিয়ান সেকুলার ফ্রন্টের এই নেতাকে। গতকাল শুভেন্দু বলেছিলেন, “অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে ডায়মন্ড হারবারে হারাবো। প্রয়োজনে অন্য লোককে দাঁড় করিয়ে হারাবো। বিজেপিকে জেতাব।” প্রসঙ্গত, ২০১৯ এর লোকসভা ভোটের রেজাল্ট অনুযায়ী ডায়মন্ড হারবার থেকে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ৩ লক্ষ ২০ হাজার ৫৯৪ ভোটের ব্যবধানে জেতেন। এবার সেই কেন্দ্রেই নজর বিরোধীদের। গতকাল শুভেন্দুর মন্তব্যের পর আজ নওশাদ সেই কেন্দ্র থেকে প্রার্থী হওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করেন। এরপরই তৈরি হয়েছে জল্পনা। এরপরই রাজনৈতিক মহলের কেউ কেউ বিষয়টিকে দু’য়ে-দু’য়ে চার করার চেষ্টা করছেন। তবে নওশাদ আবার এও জানিয়েছেন, “ভারতীয় জনতা পার্টি কাকে কোথায় প্রার্থী করবে তাদের দলের একান্ত ব্যাপার।”