AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Cut Money: ‘আত্মহত্যা ছাড়া রাস্তা নেই,’ কাটমানির জ্বালায় অতিষ্ঠ বৃদ্ধ দম্পতির চিঠি বিডিও-কে

Cut Money: 'মৃত্যু ছাড়া আর কোনও রাস্তা নেই।' বিডিও (BDO)-কে চিঠিতে অভিযোগ জানিয়ে এই আবেদন বৃদ্ধ দম্পতির। কিন্তু কেন? অশীতিপর দম্পতির অভিযোগ, স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্যকে ২০ হাজার টাকা কাটমানি দিতে পারেননি। তাই আবাস যোজনার তালিকায় নাম থাকা সত্ত্বেও বঞ্চিত হয়েছেন তার সুবিধা থেকে। মেলেনি বার্ধক্য ভাতাও। জোটেনি স্বাস্থ্যসাথী কার্ড।

Cut Money: 'আত্মহত্যা ছাড়া রাস্তা নেই,' কাটমানির জ্বালায় অতিষ্ঠ বৃদ্ধ দম্পতির চিঠি বিডিও-কে
সরকারি সুবিধা চাইতে গেলে ঘুরিয়ে ,কাটমানি চাওয়া হয় বৃদ্ধ-বৃদ্ধার কাছে। নিজস্ব চিত্র
| Edited By: | Updated on: Sep 11, 2021 | 6:55 PM
Share

ঘুরিয়ে মালদহ: ‘মৃত্যু ছাড়া আর কোনও রাস্তা নেই।’ বিডিও (BDO)-কে চিঠিতে অভিযোগ জানিয়ে এই আবেদন বৃদ্ধ দম্পতির। কিন্তু কেন? অশীতিপর দম্পতির অভিযোগ, স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্যকে ২০ হাজার টাকা কাটমানি দিতে পারেননি। তাই আবাস যোজনার তালিকায় নাম থাকা সত্ত্বেও বঞ্চিত হয়েছেন তার সুবিধা থেকে। মেলেনি বার্ধক্য ভাতাও। জোটেনি স্বাস্থ্যসাথী কার্ড। বৃদ্ধের চিঠিকে কেন্দ্র করে তোলপাড় মালদহের চাঁচোল এলাকা।

দু’জনেই অশীতিপর। বয়েসের ভারে ন্যুব্জ শরীর। তার পর শরীর জুড়ে রোগের থাবা। নিয়মিত রাস্তার ধারে ত্রিপল দিয়ে ঢেকে বা কোনও ছাদের নিচে আশ্রয় নিয়ে থাকতে হয় স্বামী-স্ত্রীকে। কারণ, ঘর বলতে একটা ঠিকানা হয়ত আছে, কিন্তু সেটার দশা এতটাই খারাপ যে থাকতে সাহস পান না।

বাড়ির টিনের ছাদে অজস্র ছিদ্র। চারদিকে ভাঙাচোরা এতটাই যে সুকুমার রায়ের বুড়ির বাড়িকেও লজ্জা দেয়। অথচ সেই বৃদ্ধ দম্পতি আবাস যোজনার সুযোগ পাননি। ঘরে খাওয়ার নেই। উপোস চলে নিয়মিত। না খেয়ে খেয়ে খিদেটাও হারিয়ে গিয়েছে।মেলে না বার্ধক্য ভাতাটুকুও।  শরীরে রোগের বাস। কিন্তু জোটেনি রাজ্য সরকারের স্বাস্থ্যসাথী কার্ডও। ফলে চিকিৎসার সামর্থ্যও নেই। মালদার চাঁচলের আমলাপাড়ার গৌড় চন্দ্র দাস আর গয়া দেবীর দুর্দশা এতটাই যে মৃত্যুই একমাত্র অবলম্বন বলে মনে করছেন তাঁরা।

অথচ ওই এলাকাতেই বাড়ি গ্রাম পঞ্চায়েতের বিজেপি সদস্যা পম্পা চৌধুরীর। কিন্তু বৃদ্ধ দম্পতির দিকে তিনি ফিরেও তাকাননি বলে অভিযোগ। এলাকার বিধায়ক আবার তৃণমূলের। বেশ বড় মাপের নেতা। নাম নীহার রঞ্জন ঘোষ। না, তিনিও সব জেনেও কিছু করেননি, অভিযোগ এমনটাই। উলটে তিনি দায় চাপিয়েছেন বিজেপির পঞ্চায়েত সদস্যার দিকে। কাটমানির অভিযোগ তুলে এফআইআর করার হুমকিও দিয়েছেন। তৃণমূল-বিজেপি-র এই টানাপোড়েনে আত্মহত্যা ছাড়া তাঁদের আর কোনও গতি নেই বলে বিডিও-কে জানান বৃদ্ধ দম্পতি।

গৌড় এবং গয়া দেবীর দুই ছেলের মধ্যে একজন মারা গিয়েছেন। আরেক ছেলে অন্য এলাকায় সংসার পেতেছেন। তাঁরও নিজের খাবার জোটে না বলে বাবা-মাকে দেখতে পারেন না। এমনটাই জানা গিয়েছে। বাড়িতে অসুস্থ একসময়ের ভ্যান চালক স্বামী গৌর দাসকে নিয়ে একা থাকেন গয়াদেবী। স্বামী একচোখে দেখেন না। অসুস্থ হওয়ায় কাজও করতে পারেন না। গয়াদেবীরও কিডনিতে পাথর হয়েছে। মাঝেমধ্যেই ব্যথায় কাতর হয়ে পড়েন। কিন্তু অর্থাভাবে চিকিৎসা করাতে পারেন না। স্বাস্থ্যসাথী কার্ডের জন্য আবেদন করেছিলেন। কিন্তু তা এখনও মেলেনি। জানা গিয়েছে, গত বছর আবাস যোজনার তালিকায় তার নাম রয়েছে বলে জানতে পারেন তাঁরা। কিন্তু পঞ্চায়েত সদস্যার দাবিমতো ২০ হাজার টাকা দিতে পারেননি। তাই ঘরও মেলেনি!

টাকা দিতে না পারায় এবারেও ঘর মিলবে না বলে আশঙ্কায় রয়েছেন তিনি। তাই বিডিও-কে আগেভাগে চিছি লিখলেন তাঁরা। এ নিয়ে জেলা বিজেপির সম্পাদক কিষান কেডিয়া বলেন, বিজেপি কখনও কাটমানি ইস্যুতে বিশ্বাসী নয়। বিজেপিকে চক্রান্ত করে ফাঁসাবার উদ্দেশে এ সমস্ত অভিযোগ তোলা হচ্ছে। এগুলো তৃণমূলের পরিকল্পিত চক্রান্ত। আমাদের দলের যদি কেউ যুক্ত থাকে তাহলে প্রশাসন তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিক। আমাদের কোনো আপত্তি নেই। অন্যদিকে, চাঁচল ১ ব্লকের বিডিও সমিরন ভট্টাচার্য জানান অভিযোগ জমা পড়েছে, পুরো বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে দেখা হবে।

আরও পড়ুন: Suvendu Adhikari: ‘ওঁর কানে সারাজীবন হারের যন্ত্রণা বাজবে,’ ফের মমতাকে হুঁশিয়ারি শুভেন্দুর