Khagen Murmu: বিজেপি সাংসদকে দেখে ‘গো ব্যাক’ স্লোগান, বিডিও অফিসে তুলকালাম

Subhotosh Bhattacharya | Edited By: সায়নী জোয়ারদার

Oct 09, 2023 | 7:24 PM

Maldah: খগেন মুর্মু বলেন, বিডিও অফিস যেন পার্টি অফিস। তাঁর কথায়, বিডিও চাইলে ওই লোকজনকে বের করে দিতে পারতেন। কিন্তু তা করেননি। বিডিও তৃণমূলের ব্লক সভাপতির মতো ব্যবহার করেন বলেও দাবি খগেনের।

Khagen Murmu: বিজেপি সাংসদকে দেখে গো ব্যাক স্লোগান, বিডিও অফিসে তুলকালাম
সাংবাদিকদের মুখোমুখি খগেন মুর্মু।
Image Credit source: TV9 Bangla

Follow Us

মালদহ: বিজেপি সাংসদ খগেন মুর্মুকে ঘিরে ‘গো ব্যাক স্লোগান’ বিডিও অফিসের সামনে। ১০০ দিনের টাকা কোথায় গেল, প্রশ্ন তুলে সাংসদকে ঘিরে স্লোগান দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। যদিও গোটা ঘটনায় খগেন মুর্মুর নিশানায় রতুয়া-১ ব্লকের বিডিও। খগেনের দাবি, বিডিও নীরব থাকার কারণেই সোমবার এই পরিস্থিতি তৈরি হয়। অভিযোগ, বিডিও অফিসেই ঘরের ভিতর আটকেও সাংসদকে ঘিরে চলে গো ব্যাক স্লোগান। পরে পুলিশ তাঁকে বের করে আনে। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে সোমবার উত্তেজনা ছড়ায় বিডিও অফিস চত্বরে।

ভাঙন বিধ্বস্ত এলাকায় পুনর্বাসনসংক্রান্ত কী পদক্ষেপ করা হল, তা জানতে এদিন বিডিও অফিসে যান খগেন মুর্মু। তাঁর অভিযোগ, সেখানে তৃণমূলের নেতা কর্মীরাও হাজির ছিলেন। খগেন মুর্মু বলেন, “রতুয়া-১ ব্লকের পুনর্বাসন সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে বিডিওর সঙ্গে আলোচনা করতে গিয়েছিলাম। এখনও মহানন্দাটোলার বহু মানুষ ঘরছাড়া। বিডিওর নেতৃত্বে জেলাশাসক একটা টিম করে দিয়েছিলেন। মোট পাঁচজনের টিম। ওই টিম পুনর্বাসনের জন্য জমি জায়গা দেখবে। বিডিওর কাছে জানতে চাইলাম, এক মাস কেটে গেল, জমির কী ব্যবস্থা হল। উনি বলছেন কিছুই হয়নি। উনি বলছেন পঞ্চায়েত সমিতি করবে। এ নিয়ে কথা হচ্ছে তখন তৃণমূলের লোকজন এসে কথা ঘুরিয়ে দিল। ১০০ দিনের টাকা কোথায় গেল, তা নিয়ে হইচই শুরু করল।”

খগেন মুর্মু বলেন, বিডিও অফিস যেন পার্টি অফিস। তাঁর কথায়, বিডিও চাইলে ওই লোকজনকে বের করে দিতে পারতেন। কিন্তু তা করেননি। বিডিও তৃণমূলের ব্লক সভাপতির মতো ব্যবহার করেন বলেও দাবি খগেনের। বিজেপি সাংসদ বলেন, “রতুয়া-১ বিডিওর বিরুদ্ধে প্রিভিলেজ মোশান আনব। উনি একজন সাংসদকে অপমান করেছেন।”

যদিও এ প্রসঙ্গে তৃণমূল নেতা কৃষ্ণেন্দুনারায়ণ চৌধুরী বলেন, “গরিব মানুষ যাতে টাকা না পায় তার জন্য পশ্চিমবাংলার বিজেপি নেতারা দিল্লিতে দরবার করছে। পশ্চিমবঙ্গকে অর্থনৈতিকভাবে বঞ্চিত করে আর্থিক দেউলিয়া করার চেষ্টা করছে। তাই মানুষ রেগে গিয়েছেন। মানুষ কাজ করেছেন, অথচ ন্যায্য পাওনা পেলেন না। সাংসদ কেন, তার উপরেও কেউ থাকলে তাঁকেও বলবেন। কেন্দ্র যতদিন না গরিব মানুষের টাকা দেবে, প্রতিবাদ তো হবেই।”

Next Article