School Opened in Malda: বিধি ছাড়াই রমরমিয়ে চলছে ক্লাস, সরকারি নির্দেশিকা উপেক্ষা করেই নোটিস প্রধান শিক্ষকের

TV9 Bangla Digital | Edited By: tista roychowdhury

Jan 21, 2022 | 2:23 PM

Malda: স্কুল চত্বরে দেখা যায়, ছাত্রছাত্রীদের প্রচুর সাইকেল রাখা। ভেতরে চলছে ক্লাস। ক্লাস শেষ হলে ঘণ্টাও বাজছে। ক্লাসরুমে গিয়ে দেখা যায়, একেকটি বেঞ্চে পাঁচজন পড়ুয়া বসে রয়েছে।

School Opened in Malda: বিধি ছাড়াই রমরমিয়ে চলছে ক্লাস, সরকারি নির্দেশিকা উপেক্ষা করেই নোটিস প্রধান শিক্ষকের
চলছে ক্লাস, নিজস্ব চিত্র

Follow Us

 মালদা: নোটিস দিয়ে স্কুল খোলার নির্দেশ দিলেন প্রধান শিক্ষক। পরোয়া নেই কোভিড বিধির (COVID19 Protocol)। পরোয়া নেই সরকারি নির্দেশিকার। স্কুল খুলে রমরমিয়ে ক্লাসও শুরু হয়ে গেল। ক্লাস চলাকালীনও মানা হল না স্বাস্থ্য বিধি। মালদার রতুয়া ২ ব্লকে পুখুরিয়ার সুলতানগঞ্জে সরকারি স্কুলের ঘটনা।

সুলতানগঞ্জ হাইস্কুল। প্রধান শিক্ষক মফিজুর রহমান এই করোনা আবহে নোটিস দিয়েছেন, স্কুল খোলা হবে। পঞ্চম থেকে দশম সব শ্রেণির ক্লাস শুরু করা হবে। সেইমতো গতকাল থেকে রমরমিয়ে ক্লাস শুরু হয়ে গিয়েছে। অনেক শিক্ষক অনিচ্ছা সত্ত্বেও এসে ক্লাস নিচ্ছেন।

স্কুলের সেই নোটিস হাতে আসার পরেই সেখানে পৌঁছে যায় TV9 বাংলা। দেখা যায়, স্বাভাবিক ছন্দে যেমন স্কুল হত তেমনই চলছে সবকিছু। TV9-এর প্রতিনিধি ছবি তোলা শুরু করতেই  বাধা দেওয়ার অভিযোগ ওঠে। স্কুলের কিছু কর্মী ও বহিরাগত কয়েকজন ছবি তুলতে বাধা দেয় বলে অভিযোগ। সংবাদমাধ্যম আসার খবর পেতেই  সাবধান হয়ে যান প্রধান শিক্ষক মফিজুর রহমান।

স্কুল চত্বরে দেখা যায়, ছাত্রছাত্রীদের প্রচুর সাইকেল রাখা। ভেতরে চলছে ক্লাস। ক্লাস শেষ হলে ঘণ্টাও বাজছে। ক্লাসরুমে গিয়ে দেখা যায়, একেকটি বেঞ্চে পাঁচজন পড়ুয়া বসে রয়েছে। ফলে শারীরিক দূরত্ববিধি মেনে চলার কোনও প্রশ্নই ওঠে না। এরপরেই ক্লাসরুমে TV9 পৌঁছে গিয়েছে শুনে দৌড়ে আসেন প্রধান শিক্ষক। ফরমান জারি করেন, কোনও ছবি তোলা যাবে না। শুধুমাত্র তাঁর সঙ্গেই কথা বলতে হবে।

স্কুলের এক খুদে পড়ুয়ার কথায়, “আমাদের তো সব ক্লাস হচ্ছে। বাংলা, ইংরেজি, অঙ্ক। যেরকম রুটিন মেনে হয়ে থাকে। সেইরকমই।”  প্রধান শিক্ষক মাফিজুর রহমান অবশ্য বলেন, “আমরা জানি, সরকারের তরফে কোনও নির্দেশিকা আসেনি। কিন্তু,  আমরা ডাউট ক্লিয়ারিং ক্লাস করছি। কোনও  এমনি ক্লাস হচ্ছে না। বাচ্চারা তো আসেই না। এক ঘণ্টা থাকতে না থাকতে পালিয়ে যায়। কোথায়, কাদের পড়াব! এখানে শুধুমাত্র বাচ্চাদের ডেকে এনে ডাউট ক্লিয়ার করা হয়। তিনদিন করে তিনটি ক্লাস ডাকা হচ্ছে। আজ যেমন ক্লাস সিক্স আর ক্লাস এইট এসেছে। এইভাবে চলছে।”

প্রধান শিক্ষক মাফিজুর রহমান নিজেও স্বাস্থ্য বিধি ধার ধারেননি। মুখে মাস্কটা পর্যন্ত নেই। প্রথমটা কোচিং চলছে বলে সাফাই দিলেও পরে স্পষ্ট ওই প্রধান শিক্ষক জানান, কয়েকদিন পরেই স্কুল খুলবে। সুতরাং, স্কুল চালু হলে কোনও সমস্যা নেই। সরকারি নির্দেশিকা উপেক্ষা করে কীভাবে সুলতানগঞ্জ উচ্চমাধ্যমিক বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ স্কুলে পড়ুয়াদের নিয়ে ক্লাস করছে, তা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে।

আরও পড়ুন: Opposition Parties on School Reopening: ‘খেলা-মেলা সবই চলছে…স্কুল খুলবে না কেন?’

আরও পড়ুন: Deocha Pachami Coal Mining Project: পাচামি এলাকায় আদিবাসীদের কর্মসংস্থানে উদ্যোগী রাজ্য, তড়িঘড়ি বৈঠকে অনুব্রত

 

 

Next Article