Minor Abuse: সৎ বলে কি মা নয়! ১০ বছরের লক্ষ্মীকে এভাবে জীবন কাটাতে দেখে গ্রামবাসীরাও আর পারলেন না…

TV9 Bangla Digital | Edited By: অংশুমান গোস্বামী

May 20, 2022 | 7:24 PM

Girl Child Abuse: তার ‘অপরাধ’ সে মেয়ে। তাই বাবা-মায়ের ভালোবাসা জোটে না। স্কুলে ভর্তি হলেও পড়াশোনা করতে পারে না সৎ মায়ের বাধায়। বদলে সারা দিন করতে হয় বাড়ির কাজ।

Minor Abuse: সৎ বলে কি মা নয়! ১০ বছরের লক্ষ্মীকে এভাবে জীবন কাটাতে দেখে গ্রামবাসীরাও আর পারলেন না...
প্রতীকী ছবি

Follow Us

মালদহ: মেয়েদের পড়াশোনা ও তাদের উন্নয়নের জন্য সচেষ্ট রাজ্য ও কেন্দ্রের সরকার। মেয়েদের জন্য ‘কন্যাশ্রী’, ‘বেটি বাঁচাও বেটি পড়াও’-এর মতো একাধিক প্রকল্পও রয়েছে। এত উদ্যোগ সত্ত্বেও সমাজের একাংশের মধ্য়ে কন্যা সন্তানকে নিয়ে ‘আদিম’ মনোভাবের পরিবর্তন ঘটেনি, তা দেখা গেল মালদহের হরিশ্চন্দ্রপুর থানার এলাকার তুলসীহাটা গ্রাম পঞ্চায়েতের অন্তর্গত কিসমত বড়োল গ্রামে। শুধু মাত্র মেয়ে হওয়ার অপরাধে নাবালিকার উপর দিনের পর দিন অত্যাচার চালাতেন সৎ মা। অভিযোগ সৎ মায়ের সেই আচরণে মদত ছিল বাবারও। একরত্তি মেয়ের কষ্ট দেখে ঠিক থাকতে পারেননি গ্রামবাসীরা। বার বার বলা সত্ত্বেও তাঁরা নাবালিকার উপর অত্যাচার থেকে বিরত করতে পারেননি সৎ মাকে। অত্যাচারের হাত থেকে নাবালিকাকে বাঁচাতে হরিশ্চন্দ্রপুর থানার দ্বারস্থ হয়েছিলেন তাঁরা। তার পর পুলিশের সহায়তায় নাবালিকা মেয়েটিকে পাঠানো হয়েছে চাইল্ড লাইনের হোমে। অভিযুক্ত সৎ মা ও বাবাকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ চালাচ্ছে পুলিশ।

তার ‘অপরাধ’ সে মেয়ে। তাই বাবা-মায়ের ভালোবাসা জোটে না। স্কুলে ভর্তি হলেও পড়াশোনা করতে পারে না সৎ মায়ের বাধায়। বদলে সারা দিন করতে হয় বাড়ির কাজ। রান্না করা, কাপড় কাচা, ঘর মোছা, বাসন মাজা- কোনও কাজই বাদ যায় না। সেই সব কাজে কোনও ভুল হলেই চলে মারধর, অকথ্য অত্যাচার। ঠিক মতো খেতে না দেওয়ার পাশাপাশি ঘরবন্দি করার অভিযোগও উঠেছে। এমনকি মাঝেমধ্যেই রাতে তাকে ঘর থেকে বের করে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ গ্রামবাসীদের। এ রমকই করেই দিন কাটছিল ১০ বছরের লক্ষ্মী দাসের। ছোটবেলাতেই মাকে হারিয়েছে সে। তার বয়স যখন সাত বছর, তখন তার বাবা প্রদীপ দাস আরও একটি বিয়ে করেন। তার পর থেকেই লক্ষ্মীর জীবনে নেমে আসে অন্ধকার। সৎ মায়ের অত্যাচার হাড়ে হাড়ে টের পেতে শুরু করে বাচ্চা মেয়েটি।

লক্ষ্মীর উপর অত্যাচারের বিষয়টি নজর এড়ায়নি গ্রামবাসীদের। ওই টুকু বাচ্চার উপর অত্যাচার দেখে গ্রামবাসীরা নিজেদের উদ্যোগেই আলোচনা সভা বসিয়েছিলেন। যাতে এই সমস্যার সমাধান করা যায়। লক্ষ্মীর সৎ মা ও বাবাকেও এই কাজ থেকে বিরত থাকতে বলেন গ্রামবাসীরা। কিন্তু অভিযোগ, বার বার বলা সত্ত্বেও কোনও লাভ হয়নি। তাই বাধ্য হয়েই গ্রামবাসীরা হরিশ্চন্দ্রপুর থানার দ্বারস্থ হন। পুলিশ গিয়ে উদ্ধার করে নাবালিকা লক্ষ্মীকে। তার পর লক্ষ্মীকে নতুন জামা, জুতো কিনে দেন পুলিশকর্মীরা। স্নান করিয়ে নতুন জামা পরিয়ে তাকে পাঠানো হয়েছে চাইল্ড লাইনের হোমে। সেখানেই আপাতত রয়েছে লক্ষ্মী। নাবালিকার উপর অত্যাচারের অভিযোগে লক্ষ্মীর সৎ মা ও বাবাকে আটক করেছে পুলিশ। তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদ চলছে বলে জানানো হয়েছে পুলিশের তরফে।

Next Article