মালদা : বিয়ের আগে থেকে পরিচয়। বিয়ের পরও যুবতির শ্বশুরবাড়িতে আসত। সেই সূত্রে সবার সঙ্গে ভাল সম্পর্ক গড়ে উঠেছিল। সেই যুবকই বাড়িতে ঢুকে এমন করবে ভাবতেও পারছে না মালদার ইংরেজবাজারের বাহান্ন বিঘা এলাকার মণ্ডল পরিবার। আজ দুপুরে বাড়িতে ঢুকে যুবতিকে ভোজালি দিয়ে এলোপাথাড়ি কোপাল ওই যুবক। এরপর সেই ভোজালি দিয়ে নিজেকেও কোপাল সে। ভোজালির কোপে মৃত্যু হয়েছে গৃহবধূর। মৃতের নাম সবিতা মণ্ডল (২৬)। অভিযুক্ত যুবকের নাম সিন্টু মণ্ডল। গুরুতর জখম অবস্থায় সে মালদা মেডিক্যাল কলেজে (Malda Medical College) ভর্তি রয়েছে।
বছর ছাব্বিশের সবিতার বাপের বাড়ি মানিকচকে। কয়েক বছর আগে তাঁর বিয়ে হয় ইংরেজবাজারের বাহান্ন বিঘা এলাকায়। সবিতার স্বামী ঝন্টু মণ্ডল গ্যারেজের মিস্ত্রি। তাঁদের দুই পুত্র ও এক মেয়ে রয়েছে।
বছর সাতাশের সিন্টুর বাড়িও মানিকচকে। দিল্লিতে পরিযায়ী শ্রমিকের কাজ করে। সে অবিবাহিত। সবিতার সঙ্গে তাঁর অনেকদিনের পরিচয়। সেই পরিচয়ের সূত্রেই সবিতার বিয়ের পর তাঁর শ্বশুরবাড়িতে যাতায়াত শুরু করে সিন্টু। সবিতার স্বামীর সঙ্গে ভাল সম্পর্ক গড়ে ওঠে।
সবিতার পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, আজ দুপুর বারোটা নাগাদ হঠাৎই সিন্টু ভোজালি নিয়ে ঢুকে পড়ে বাড়িতে। কেউ কিছু বুঝে ওঠার আগেই ভোজালি দিয়ে এলোপাথাড়ি কোপাতে থাকে সবিতাকে। আট থেকে দশবার কোপানো হয় বলে অভিযোগ। এরপর ওই যুবক নিজেকেও ভোজালি দিয়ে কোপায়। আশঙ্কাজনক অবস্থায় সবিতাকে ভর্তি করা হয় মালদা মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে। সেখানে তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা। অভিযুক্ত যুবককেও সেখানেই ভর্তি করা হয়েছে।
ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে ইংরেজবাজার থানার পুলিশ। কী কারণে যুবক বাড়িতে ঢুকে গৃহবধূর উপর হামলা চালাল তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। ঘটনার কারণ এখনও স্পষ্ট না হলেও, বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক থেকে প্রতিহিংসার বশে এমনটা হয়ে থাকতে পারে বলে প্রাথমিক ভাবে অনুমান করা হচ্ছে।