মালদা : পরিবহন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমের হাতে ঘটা করে উদ্ধোধন হয়েছিল বাস ডিপো। দুই কোটি টাকা বরাদ্দ হয়েছিল এই প্রকল্পের জন্য। কিন্তু এখন সরকারি এই বাস ডিপোতে ঝুলছে তালা। আর এই নিয়েই এবার বিক্ষোভ মালদার চাঁচলে। অভিযোগ, সব পরিকাঠামো থাকা সত্ত্বেও এখনও চালু হল না উত্তরবঙ্গ রাষ্ট্রীয় পরিবহন নিগমের মালদার চাঁচলের কলিগ্রাম ডিপো। ঝাঁ-চকচকে ডিপো এখন তালাবন্ধ। আর এখানেই তালাবন্ধ ডিপো এখন হয়ে উঠেছে অসামাজিক কার্যকলাপের আখড়া। এই অভিযোগ তুলে মঙ্গলবার বিক্ষোভ দেখালেন স্থানীয় বাসিন্দারা। পাশাপাশি ওই ডিপো যাতে দ্রুত চালু করা হয়, সেই দাবিও তুলেছেন এলাকাবাসীরা।
প্রায় মাস ছয়েক আগে চাঁচলের কলিগ্রামে এসেছিলেন রাজ্যের পরিবহণমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। নারকেল ফাটিয়ে, বাস চালিয়ে উদ্বোধন করেছিলেন কলিগ্রামে নবনির্মিত বাস ডিপো। মন্ত্রী জানিয়েছিলেন, পরের দিন থেকেই এই ডিপো থেকে সরকারি বাস যাত্রী নিয়ে চলাচল করবে। কিন্তু এখনও পর্যন্ত ডিপো চালু না হওয়ায় সমস্যায় পড়েছেন কলিগ্রাম,খরবা,মতিহারপুর সহ আশেপাশের এলাকার মানুষজন। প্রতিদিন অনেক যাত্রীই ডিপো বন্ধ থাকার খবর না জেনে বাক্স প্যাঁটরা নিয়ে বাস ধরতে চলে আসছেন। আর তারপর তালাবন্ধ ডিপো দেখে ফিরে যেতে হচ্ছে। কলিগ্রামের নতুন ডিপোটিতে যাবতীয় পরিকাঠামো তৈরি করা হয়েছে। রয়েছে যাত্রীদের যাবতীয় স্বাচ্ছন্দ্যের ব্যবস্থা। ওয়ার্কশপ থেকে শুরু করে উত্তরবঙ্গ রাষ্ট্রীয় পরিবহণ নিগমের জ্বালানি তেলের পাম্প এবং যাত্রীনিবাস… সবই।
মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম ডিপোর উদ্বোধন করে কলকাতা ফিরে গিয়েছেন। কিন্তু তারপর থেকে তালা বন্ধ হয়ে পড়ে রয়েছে প্রায় দুই কোটি টাকায় নির্মিত এই বাস ডিপো। এলাকাবাসীরা জানিয়েছেন, “ছয় মাস আগে মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম এখানে এসে ঘটা করে ডিপোর উদ্বোধন করেছিলেন। সেই সময় বহু মানুষ এসেছিলেন। তাঁরা আশায় ছিলেন, ঘোষণা মতো পরের দিন থেকেই বাস চালু হবে। মানুষ উৎসাহিত হয়েছিল। কিন্তু এখানে তালা ঝুলছে। আজ চাঁচলে কোনও পরিকাঠামো নেই। অথচ, সরকার এখানে দুই কোটি টাকা ব্যয় করে সব রকম সুবিধাযুক্ত এই ডিপো তৈরি করেছিলেন। এখানে রাত হলেই দুষ্কৃতীদের আড্ডা বসছে। মদের আসর বসছে। এটি যদি এভাবেই পড়ে থাকে, তাহলে এটি ক্রমেই দুর্বিত্তদের আড্ডাখানায় পরিণত হয়ে যাচ্ছে।”