মালদা: স্কুলে গরমের ছুটি পড়ে গিয়েছে। ছুটিতে বাড়িতে এসেছিল নবম শ্রেণির ছাত্রীটি। বাড়ির সামনেই শৌচকর্ম করতে গিয়েছিল। পাহারায় ছিলেন পাশের বাড়ির কাকিমাও। কিন্তু তাতেই ভয়ঙ্কর কাণ্ড। খোঁজ মিলছে না সেই ছাত্রীর। প্রতিবেশী দম্পতির বিরুদ্ধেই ছাত্রীকে অপহরণের অভিযোগ তুলছে পরিবার। কারণ যে দিন থেকে ছাত্রী নিখোঁজ, ঠিক সে দিন থেকেই প্রতিবেশী ওই দম্পতিরও খোঁজ মিলছে না গ্রামে। চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে মালদার হরিশ্চন্দ্রপুরের পিপলা গ্রামে। তদন্ত শুরু করেছে হরিশ্চন্দ্রপুর থানার পুলিশ। ওই নাবালিকাকে বিহারের পাচার করা হতে পারে বলে মনে করছেন তদন্তকারীরা।
পরিবার সূত্রে জানা যাচ্ছে, কিছুদিন আগে হোস্টেল থেকে গরমের ছুটিতে বাড়ি ফিরেছিল নবম শ্রেণির ওই ছাত্রী। দিন আটেক আগে এক সন্ধ্যায় মাঠে শৌচকর্ম করতে যাওয়ার নামে প্রতিবেশী যশোদা ঋষি তাকে সঙ্গে করে নিয়ে যায়। তারপর থেকে আর সেই মেয়ের খোঁজ পাওয়া যায় নি। সম্ভাব্য সমস্ত এলাকাতে খোঁজ করেছেন পরিবারের সদস্যরা। কিন্তু খোঁজ না মেলায় থানার দ্বারস্থ হন পরিবারের সদস্যরা।
পরিবারের সদস্যরা যশোদা ও তাঁর স্বামীকেও জিজ্ঞাসাবাদ করেন। কিন্তু পরিবারের দাবি, তাঁরা কোনও কথারই সঙ্গতিপূর্ণ উত্তর দেননি। পরিবারের দাবি, তারপর হঠাৎ করেই যশোদা ও তাঁর স্বামী এলাকা থেকে উধাও হয়ে যান। ওই নাবালিকার মায়ের দাবি, তাঁর মেয়েকে অপহরণ করে বিহারে পাচার করা হয়েছে। এবং এই পাচারের পেছনে প্রতিবেশী যশোদা ও তাঁর স্বামী মথুর ঋষির প্রত্যক্ষ হাত রয়েছে। হরিশ্চন্দ্রপুর থানার পুলিশ অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করেছে।
অভিযুক্ত দম্পতিরও খোঁজ করছেন তদন্তকারীরা। তাঁদের কাছ থেকেই এই সংক্রান্ত গুরুত্বপূর্ণ তথ্য উঠে আসতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।