মালদহ: মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তৃণমূল ছাত্র পরিষদের মঞ্চে ফোঁস করার নিদান দিয়েছিলেন। তারপর দেখা গেল বিভিন্ন জেলা থেকে একের পর এক তৃণমূলের ছোট-বড়-মাঝারি মাপের বিভিন্ন নেতা ‘ফোঁস’ করছেন। তবে তৃণমণ ‘সেনাপতি’ বারবার সতর্ক করেছিলেন কোনও কুমন্তব্য নয়। তবে সেই কথা কানে শুনছেন তাঁর দলের সদস্যরা? আরজি কর নিয়ে প্রতিবাদে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে সমালোচনা করলে ঝাঁটা পেটা করার নিদান তৃণমূল নেত্রীর। মহিলাদের ঝাঁটা নিয়েও বেরতে বললেন তৃণমূল নেত্রী। বিজেপি সিপিএম মহিলাদের প্রতিবাদ করতে রাস্তায় নামাচ্ছে। তাই বিজেপি সিপিএমকে বয়কট করুন। মঞ্চ থেকে বেলাগাম মালদা জেলা তৃণমূল মহিলা সভানেত্রী সাগরিকা সরকারের। তাঁর কুমন্তব্য থেকে ছাড় পেলেন না প্রধানমন্ত্রীও।
সাগরিকার কথায়, বিজেপি-সিপিএম ভুল বুঝিয়ে মেয়েদের পথে নামিয়েছে। মুখ্যমন্ত্রীর নামে কুৎসা রটাচ্ছে। ওদের বয়কট করুন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নামে কুৎসা রটালে ঝাঁটা পেটা করুন। ওরা জোর করে ক্ষমতা দখল করতে চায়। যা শুনে পাল্টা আক্রমণ শানিয়েছে বিজেপি। হরিশ্চন্দ্রপুর ২ নম্বর ব্লকে সংগঠন সমিতি হলে ‘মুখোমুখি মহিলারা’ এই সভায় বক্তব্য রাখেন তৃণমূল নেত্রী। যা নিয়ে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা।
হাতে মাইক ধরে সাগরিকা বলেন, “তিলোত্তমার ঘটনা নিয়ে বিরোধীরা চক্রান্ত করেছে। তাঁরা উই ওয়ান্ট জাস্টিসের নামে মহিলাদের নামিয়েছে। তাই আমি মহিলাদের বলছি সিপিএম-বিজেপি-কে আপনারা বয়কট করবেন। আমাদের দিদির নামে যাঁরা কুৎসা রটাবে, যাঁরা অপপ্রচার করবে এরপর কোমরে কাপড় বেঁধে ঝাঁটা হাতে নিতে কংগ্রেস-সিপিএম-বিজেপিকে তুলোধনা করবেন।”
এ প্রসঙ্গে মালদহ জেলা বিজেপি সহ সভাপতি অজয় গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, “টালা থানার ওসি গিয়েছেন। এরপর মুখ্যমন্ত্রী যাবেন। ক্ষমতা থাকলে আন্দোলন প্রতিবাদ থামিয়ে দেখাক। আমরা কিছু বলব না সাধারণ মানুষ বলবেন।”