মালদা : এসেছিলেন মালদা মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের এক অনুষ্ঠানে। আর সেই অনুষ্ঠান থেকেই ওই হাসপাতালের চিকিৎসকদের কড়া হুঁশিয়ার দিলেন তৃণমূল বিধায়ক তথা রাজ্য বিধানসভার স্বাস্থ্য বিষয়ক স্ট্যান্ডিং কমিটির চেয়ারম্যান নির্মল মাঝি (Nirmal Maji)। চিকিৎসকদের উদ্দেশে বলেন, এখানে একটা বড় সমস্যা রয়েছে। এখানকার চিকিৎসকদের অনেকে আসি যাই মাইনে পাই মন্ত্রে বিশ্বাসী। ওইসব চিকিৎসকদের বিধানসভায় শোকজের হুঁশিয়ারি দেন। বলেন, “স্বাস্থ্য বিষয়ক স্ট্যান্ডিং কমিটিতে ডেকে তাঁদের কাছে কৈফিয়ত চাইব।”
রবিবার ওয়েস্টবেঙ্গল প্রোগ্রেসিভ মেডিক্যাল টেকনোলজিস্ট অ্যাসোসিয়েশনের (WBPMTA) মালদা শাখার তৃতীয় সম্মেলনে আসেন নির্মল মাঝি। এই অ্যাসোসিয়েশনের চেয়ারম্যান তিনি। ওই অনুষ্ঠানে এসে মালদা হাসপাতালের একাংশ চিকিৎসককে তুলোধনা করেন। তৃণমূল বিধায়ক বলেন, “মালদা মেডিক্যাল কলেজে প্রতিদিন অসংখ্য মানুষকে স্বাস্থ্য পরিষেবা দেওয়া হয়। এত বড় একটা মেডিক্যাল কলেজ যেখানে অত্যাধুনিক মানের চিকিৎসা করা হয়। মাতৃমা থেকে এমআরআই, অডিটোরিয়াম, হোস্টেলের ব্যবস্থা রয়েছে। কিন্তু এখানে একটা বড় সমস্যা রয়েছে সেটা হচ্ছে আসি যাই মাইনা পাই। এটা বদলাতে হবে ।”
এরপরই মালদা হাসপাতালের প্রিন্সিপাল সুপারদের ভর্ৎসনা করে তিনি বলেন, “প্রিন্সিপাল সুপাররা তিন দিনের বেশি আসেন না। এখানে সিপিএমের হার্মাদদের বড় অংশের কিছু ডক্টর অ্যাসোসিয়েশনের চিকিৎসকরা রয়েছেন। এ সমস্ত ডাক্তারদের আমরা চিহ্নিত করে বিধানসভায় শোকজ করব। এখানে হাসপাতালে 6 জন অ্যাসিস্ট্যান্ট সুপার আছেন। যাঁরা আট ঘণ্টার বাইরে ডিউটি করেন না। যাঁরা হাসপাতালের পাশাপাশি নার্সিংহোমে ডিউটি করছেন। সপ্তাহে পাঁচ দিন তাঁরা আসছেন না । সে প্রিন্সিপাল হোক বা কোনও ডিপার্টমেন্টের প্রধান হোক, যেকোনও বিভাগের ডাক্তার হোক না কেন। জনগণ তাদের ক্ষমা করবে না।”
মালদা হাসপাতালে চিকিৎসকদের এই মানসিকতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে ক্ষুব্ধ নির্মল বলেন, “দু’দিন ডিউটি করে মাসে দেড় লক্ষ টাকা বেতন নিচ্ছ। কলকাতায় গিয়ে আবার চিকিৎসা করছ। মালদা মেডিকেল কলেজ রোম্যান্সের জোন হয়ে উঠেছে। কাজ করবে না, অথচ সরকারের কাছ থেকে কাছ থেকে মোটা টাকা নেবে। তারপর আবার কলকাতাতে চারদিন প্র্যাকটিস্ করবে। এই জিনিস বাংলার মানুষ বরদাস্ত করবে না।”