ত্রাণের কোটি কোটি টাকা আত্মসাৎ করেছেন তৃণমূল প্রধান! এফআইআর করলেন খোদ বিডিও

TV9 Bangla Digital | Edited By: সৈকত দাস

Jul 26, 2021 | 6:05 PM

TMC: অভিযোগ, প্রকৃত উপভোক্তারা বন্যা ত্রাণের কানাকড়ি পাননি। তার বদলে ঘনিষ্ঠদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে টাকা ঢুকিয়ে তা আত্মসাৎ করেছেন পঞ্চায়েত প্রধান। গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধানের বিরুদ্ধে এভাবেই ত্রাণের কয়েক কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে এফআইআর দায়ের করলেন বিডিও।

ত্রাণের কোটি কোটি টাকা আত্মসাৎ করেছেন তৃণমূল প্রধান! এফআইআর করলেন খোদ বিডিও
নিজস্ব চিত্র

Follow Us

মালদহ: বাড়ি ভেঙেছে বন্যায়। কেউ ভাঙা বাড়িতে ত্রিপল খাটিয়ে আতঙ্কের জীবন-যাপন করছেন। সরকারি ত্রাণ এসেছে খাতায়-কলমে। কিন্তু তা হাতে পেলে তো! বন্যা ত্রাণের কয়েক কোটি টাকা আত্মসাৎ করার অভিযোগ উঠল তৃণমূল (TMC) পঞ্চায়েতের প্রধানের বিরুদ্ধে। আর তাঁর বিরুদ্ধে থানায় এফআইআর করলেন খোদ বিডিও (BDO)। এই ঘটনায় তীব্র চাঞ্চল্য ছড়াল মালদহের হরিশচন্দ্রপুরে।

অভিযোগ, প্রকৃত উপভোক্তারা বন্যা ত্রাণের কানাকড়ি পাননি। অভিযোগ, তার বদলে ঘনিষ্ঠদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে টাকা ঢুকিয়ে তা আত্মসাৎ করেছেন পঞ্চায়েত প্রধান সোনামনি সাহা। গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধানের বিরুদ্ধে এভাবেই ত্রাণের কয়েক কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে এফআইআর দায়ের করলেন বিডিও। মালদহের হরিশচন্দ্রপুর-১ ব্লকের বোরুই গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূলের প্রধান সোনামনি সাহার বিরুদ্ধে এই এফআইআরের ঘটনা সামনে আসতেই অস্বস্তিতে তৃণমূল শিবির। দলের অন্দরেই ছড়িয়েছে চাঞ্চল্য।

প্রশাসন ও পঞ্চায়েত সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০১৭ সালে এলাকায় ভয়াবহ বন্যা হয়। সেই বন্যায় অনেকের আংশিক এবং বহু বাসিন্দার ঘরদোর সম্পূর্ণ ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এরপর রাজ্য সরকারের তরফে আংশিক ক্ষতিগ্রস্থদের জন্য ৩,৩০০ টাকা এবং সম্পূর্ণ ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য ৭০ হাজার টাকা করে অনুদান দেওয়া হয়। কিন্তু প্রকৃত উপভোক্তাদের অনেকেই টাকা পাননি বলে তারা প্রশাসনের কাছে লিখিত অভিযোগ জানান। তাহলে প্রায় ১৬ কোটি টাকা গেল কোথায়?

অভিযোগ, প্রকৃত দুর্গতদের টাকা না দিয়ে পঞ্চায়েত প্রধান তার ঘনিষ্ঠদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে ট্রান্সফার করে দিয়েছেন। এমনকি এক একজনের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে পাঁচ থেকে ছ’বার করে টাকা ঢোকানো হয় বলেও অভিযোগ। প্রধান ও তাঁর ঘনিষ্ঠদের বিরুদ্ধে এরপরেই তদন্ত শুরু করে প্রশাসন। এদিকে প্রশাসন অযথা তদন্তে ঢিলেমি করছে বলে কলকাতা হাইকোর্টে মামলাও করেন পঞ্চায়েতের কংগ্রেসের বিরোধী দলনেতা আব্দুল মান্নান।

তারপরেই প্রধান সোনামনি সাহার বিরুদ্ধে পুলিশে অভিযোগ জানান বিডিও অনির্বাণ বসু। যদিও ক্যামেরার সামনে তিনি এই বিষয়ে মুখ খুলতে চাননি তিনি। এদিকে এদিন প্রধানকে বারবার ফোন করা হলেও তিনি ফোন ধরেননি। পঞ্চায়েতে গেলে তালা ঝুলতে দেখা গিয়েছে। সোনামনির বাড়িতে গেলে প্রধানের ছেলে গৌরব সাহা বলেন, ‘বাবা-মা কেউ বাড়িতে নেই। কোথায় গেছেন তা জানি না।’ আরও পড়ুন: ঝামেলা করে স্ত্রীকে তালাক স্বামীর, জামাইকে বাগে পেয়ে গলায় জুতোর মালা দিয়ে ব্যাপক মারধর প্রতিবেশীদের!

Next Article