মালদা: পঞ্চায়েত ভোটের আগে উত্তেজনা। মালদায় কংগ্রেস এবং তৃণমূস কংগ্রসের কর্মীদের মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষ। রাজনৈতিক হিংসায় উত্তপ্ত হয়ে ওঠে রতুয়া ২ ব্লকের সংঘর্ষ। রাজনৈতিক হিংসায় উত্তপ্ত হয়ে ওঠে রতুয়া-২ ব্লকের মির্জাতপুর এলাকা। তৃণমূল কংগ্রেস ও কংগ্রেসের সংঘর্ষে মুহুর্তের মধ্যে উত্তেজনা ছড়ায়। দুই পক্ষের মধ্যে চলে ইট বৃষ্টি,ভাঙচুর হয় দুই পক্ষের কার্যালয় সহ চেয়ার,টেবিল, মোটরবাইক। ঘটনায় আহত তৃণমূলের মির্জাতপুর অঞ্চলের প্রধান জাসমিন বিবি সহ বেশ কিছু তৃণমূল কর্মী সমর্থক। সব মিলিয়ে দুই পক্ষের অন্তত পক্ষে ১২ জন আহত।
এক তৃণমূল কর্মীর বয়ান অনুযায়ী, তাঁদের গ্রাম প্রধানকে মারধর করছিলেন কংগ্রেস কর্মীরা। সেই থেকেই উত্তেজনা ছড়ায়। এর জেরে শনিবার রাত্রিবেলা দু’পক্ষের মধ্যে গন্ডগোল শুরু হয়। রাতেই আহতদের নিয়ে যাওয়া হয় আড়াইডাঙা গ্রামীণ হাসপাতালে। খবর পেয়ে এলাকায় পৌঁছয় পুখুরিয়া থানার পুলিশ। পুলিশ এসে পরিস্থিতি সামাল দেয়। গোটা ঘটনায় জড়িত দু’পক্ষের আটজনকে আটক করা হয়েছে। তৃণমূল-কংগ্রেস দু’পক্ষই একে অপরের বিরুদ্ধে দায় চাপাতে শুরু করেছে। এখনও উত্তেজনা রয়েছে গোটা এলাকায় চলছে পুলিশি টহল।
এলাকার কংগ্রেস নেতা তথা প্রাক্তন প্রধান আবদুল মান্নান বলেন, “এই এলাকার প্রায় দেড়শো জনের কাছ থেকে ১১ হাজার টাকা তুলেছিল তৃণমূলের বর্তমান প্রধান ও তাঁর দলের লোকেরা। বিগত দুবছরে না টাকা ফেরত দিয়েছে না বাড়ি বানিয়ে দিয়েছে। এরপর মানুষ যখন দেখছে তারা কিছুই পায়নি তখন সাধারণ মানুষ রাস্তা অবরোধ করে। এবার তৃণমূল ভাবে যে এই টাকা তোলার হুজুক আমাদের থেকে জনগণ পাচ্ছে। এই ভেবে আমাদের কর্মীদের ব্যাপক মারধর করে।”
অপরদিকে, তৃণমূল কর্মী শেখ বাচ্চু অভিযোগ জানিয়ে বলেছেন যে, কংগ্রেস নেতারা তাঁদের গ্রাম প্রধানকে ব্যাপক মারধর করেছে। দু’পক্ষের মধ্যে গন্ডগোল বেধে গিয়েছে।