মালদহ: পুজোয় চলছিল চটুল নাচ, বসেছিল জুয়ার আসর। তা নিয়ে প্রতিবাদ করায় যুবককে বেধড়ক মার। ধারাল অস্ত্রের কোপ। কাঠগড়ায় তৃণমূল নেতা। যে নেতার বিরুদ্ধে মূল অভিযোগ তাঁর দাদা আবার ভিলেজ পুলিশ। মারধরের ঘটনার সময় সেই পুলিশও ঘটনাস্থলে হাজির ছিল বলে খবর। তবে মারধরের ঘটনায় উঠে আসছে তৃণমূল নেতার দুই অনুগামীর কথা। বর্তমানে হাসপাতালে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছেন আক্রান্ত যুবক। চাঞ্চল্যকর ঘটনা মালদহের হরিশ্চন্দ্রপুর থানার অন্তর্গত মহেন্দ্রপুর এলাকায়। ক্ষোভে ফুঁসছে গোটা গ্রাম। অভিযুক্তের কঠোর শাস্তিরও দাবি উঠেছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মহেন্দ্রপুর কালী মন্দিরে কালীপুজো উপলক্ষে এলাকার কয়েকটি পাড়ার মানুষ একসঙ্গে পুজোর আনন্দে সামিল হন। কিন্তু গ্রামবাসীদের অভিযোগ, বিগত তিন চার বছর ধরে তৃণমূলের ছাত্র নেতা বিমান ঝা’র নেতৃত্বে কালীপুজো উপলক্ষে বসছে অশ্লীল চটুল নাচের আসর। সঙ্গে চলছে জুয়া, চলছে দেদার মদ্যপান। নষ্ট হচ্ছে পুজোর সংস্কৃতি। প্রতিবাদ করতে শুরু করেছিলেন এলাকার অনেকেই। স্বর্ণকার পাড়ার পক্ষ থেকে হরিশ্চন্দ্রপুর থানায় আগে থেকেই অভিযোগ জানিয়ে রাখা হয় যাতে এবার এ ধরনের কোনও ছবি না দেখা যায়। এ নিয়ে এদিন কালীমন্দিরে বৈঠকও হয়। সেখানেই আচমকা আসেন তৃণমূল নেতা অবিনাশ দাস এবং তার ভাই প্রিন্স দাস। যারা থানায় গিয়েছেন তাঁদের হুমকি দিতে থাকেন। তাঁদের সাফ বক্তব্য কোনওভাবেই নাচ-গানের আসর বন্ধ হবে না। প্রয়োজনে প্রতিবাদীদের প্রাণে মারারও হুমকি দেন।
এই জায়গাতেই ছিলেন এলাকার যুবক প্রীতম সাহা। তিনি ঘটনার প্রতিবাদ করায় তাঁর উপর চড়াও হয় অবিনাশেরাও। সকলের সামনেই ব্যাপক মারধরও করা হয়। স্থানীয়রাই রক্তাক্ত অবস্থায় তাঁকে কোনওমতে উদ্ধার করে হরিশ্চন্দ্রপুর গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যান। কিন্তু সেখানে অবস্থার অবনতি হওয়ায় চাঁচল সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে পাঠানো হয়। প্রীতমের পরিবারের পক্ষ থেকে হরিশ্চন্দ্রপুর থানায় লিখিত অভিযোগ জানানো হয়েছে। তাঁদের অভিযোগ, বিমান ঝা’র মদতেই এলাকায় দাদাগিরি করেন অবিনাশ এবং প্রিন্স। এর আগেও তাঁদের বিরুদ্ধে নানা অসামাজিক কাজ করার অভিযোগ রয়েছে।