মালদা : অনলাইন পরীক্ষার দাবিতে রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় বিক্ষোভ দেখাচ্ছে পড়ুয়ারা। ইতিমধ্যেই যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় ও রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয় অফলাইনে পরীক্ষার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় এখনও কোনও সিদ্ধান্ত নেয়নি। এই অবস্থায় গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় (University of Gour Banga) সিদ্ধান্ত নিয়েছে, তাদের অধীনে থাকা সব কলেজে স্নাতক স্তরের পরীক্ষা এবার অনলাইনে হবে। বাড়িতে বসেই ডিগ্রি কোর্সের পরীক্ষা দেবেন ছাত্রছাত্রীরা। এই নিয়ে আজ বিজ্ঞপ্তি জারি হয়েছে। আর এই নিয়ে শুরু হয়েছে জোর বিতর্ক। কারণ এর আগে অভিযোগ উঠেছিল, অনলাইন পরীক্ষার ক্ষেত্রে শুধু বই খুলে নয়, একজনের পরীক্ষা দিয়েছে অন্যজন। এমনকি বাড়ির অন্য সদস্যরাও।
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য শান্তি ছেত্রী বলেন, গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্তর্ভুক্ত ২৫টি কলেজে অনলাইনে পরীক্ষা হবে। সব কলেজের সঙ্গে কথা বলেই সর্বসম্মতিক্রমে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়। বিজ্ঞপ্তি জারি হয়েছে। অভিযোগ উঠছে, অনলাইনে পরীক্ষা নেওয়ার জন্যে বাড়তি একটা চাপ তৈরি হয়েছিল বিশ্ববিদ্যালয়ের ওপর।
অনেকে বলছেন, বাড়িতে বই খুলে যে অবাধে পরীক্ষা দেবে ছাত্রছাত্রীরা সে বিষয়ে নিশ্চিত বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষও। তা সত্ত্বেও কেন অনলাইনে পরীক্ষা, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। তবে উপাচার্য জানালেন, এবার বেশ কিছু ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার, কন্ট্রোলার, কলেজের অধ্যক্ষদের সঙ্গে আলোচনা করে পরীক্ষার বিষয়ে কিছু ব্যতিক্রমী সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তাঁরা। বাড়িতে বসে অনলাইনে পরীক্ষা দিলেও পরীক্ষা শেষ হওয়ার দু’ঘণ্টার মধ্যে পরীক্ষার্থীকে উত্তরপত্র নির্দিষ্ট কলেজে গিয়ে জমা দিয়ে আসতে হবে। যে উত্তরপত্র এবার কলেজই দেবে। পাশাপাশি স্ক্যান করে আপলোড করতে হবে সেই উত্তরপত্র। সেই উত্তরপত্রে পরীক্ষার্থীর হাতের লেখাও খতিয়ে দেখা হবে। সেই পরীক্ষার্থী নিজেই লিখে পরীক্ষা দিয়েছেন কি না তা নিশ্চিত হওয়ার জন্য। তবে এত কিছুর পরও প্রশ্ন উঠছে, অনলাইন পরীক্ষায় কী পড়ুয়াদের যথাযথ মূল্যায়ন হবে। কয়েকদিন আগেই কেন্দ্রীয় শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী সুভাষ সরকার বলেছিলেন, তাঁরা চান বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা অফলাইনে হোক।