Malda Chaos: জমি বিবাদের জের, মহিলাকে ধারাল অস্ত্রের কোপ মারার অভিযোগ ভিলেজ পুলিশ ও এক সিভিক ভলান্টিয়ারের বিরুদ্ধে

TV9 Bangla Digital | Edited By: অবন্তিকা প্রামাণিক

May 15, 2022 | 2:14 PM

Malda: মালদার মানিকচক থানার এনায়েতপুরের ঘটনা। খাইরুল বাসার নামে এক ব্যক্তি পেশা ভিলেজ পুলিশ।

Malda Chaos: জমি বিবাদের জের, মহিলাকে ধারাল অস্ত্রের কোপ মারার অভিযোগ ভিলেজ পুলিশ ও এক সিভিক ভলান্টিয়ারের বিরুদ্ধে
আক্রান্ত মহিলা ও তাঁর ভাই (নিজস্ব ছবি)

Follow Us

মালদা: মালদায় ফের উত্তেজনা। জমি দখলকে কেন্দ্র করে দফায়-দফায় সংঘর্ষ। এক মহিলা ও তাঁর ভাইকে ধারাল অস্ত্রের কোপ মারার অভিযোগ ভিলেজ পুলিশ ও এক সিভিক ভলান্টিয়ারের বিরুদ্ধে। এরপরই হামলা চালায় আক্রান্তরা। বাঁশ দিয়ে পেটায় ওই দুজনকে। মাথায় গুরুতর চোট লাগে দুজনের।

মালদার মানিকচক থানার এনায়েতপুরের ঘটনা। খাইরুল বাসার নামে এক ব্যক্তি পেশা ভিলেজ পুলিশ। তাঁর ভাই শেখ শহিদুল সিভিক ভলান্টিয়ার। অভিযোগ, এরা হাসুয়া নিয়ে চড়াও হয় সাজমা বেওয়ার নামে এক মহিলার উপর। হাঁসুয়ার কোপ মারে সাজমা বেওয়া ও তাঁর ভাইকে। জানা গিয়েছে, সাজমা বেওয়ার তাঁদের জমি মাপঝোপ করে বেড়া দিয়ে ঘেরার উদ্যোগ নিয়েছিলেন। সেখানেই তাঁদের উপর হামলা হয় বলে অভিযোগ।

পরে নিজেদের বাঁচাতে তাঁরা ও তাঁদের পরিবারের কয়েকজন বাঁশ দিয়ে মারে দুই ভাই ভিলেজ পুলিশ ও সিভিক পুলিশকে। ইতিমধ্যে দুজনের বিরুদ্ধে সাজমা বেওয়া মানিকচক থানায় লিখিত অভিযোগও দায়ের করেছেন। ওই সিভিক ভলান্টিয়ার বলেন, ‘ভুল বসত ওরা কিছু জমি পেয়েছিল। সেই প্রতিবাদ করি। আর তারপরই এমন ঘটনা ঘটে। আমাদের মারধর করা হয়।’

বস্তুত, জমি নিয়ে বিবাদের ঘটনা নতুন নয়। একই দিনে জলপাইগুড়ি থেকেও এই ধরনের খবর সামনে আসে। জমি বিবাদের জেরে দুই পরিবারের মধ্যে তুমুল অশান্তি। ঘটনায় এক জনের মৃত্যু হয়েছে। গ্রেফতার করা হয়েছে এখনও পর্যন্ত তিন জনকে। ঘটনাটি ঘটেছে ধূপগুড়ি ব্লকের গাদং ২ গ্ৰাম পঞ্চায়েতের ঝাড়শালবাড়ি এলাকায়। মৃতের নাম গোবিন্দ মণ্ডল (৫৭)। সূত্রের খবর, দুই পরিবারের মধ্যে দীর্ঘদিন থেকেই জমি সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে বিবাদ চলছিল, গতকাল বিকালে সেই বিবাদ চরম আকার নেয়।

জানা গিয়েছে, কয়েকদিন ধরেই ঝাড়শালবাড়ির বাসিন্দা গোবিন্দ মণ্ডল ও তাঁর শ্যালক সুরঞ্জন মণ্ডলের পারিবারিক বিরোধ চলছিল। শনিবার সেই বিবাদ চরমে পৌঁছয়। অভিযোগ, শনিবার বিকাল নাগাদ রীতিমতো লাঠি, রড, কোদাল নিয়ে গোবিন্দ মণ্ডলের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ে তাঁর শ্যালক, শ্যালিকা-সহ শাশুড়ি। এদিকে বাবা গোবিন্দ মণ্ডলকে বাঁচাতে যায় দুই ছেলে উত্তম মণ্ডল ও গৌতম মণ্ডল। লাঠির আঘাতে লুটিয়ে পড়েন গোবিন্দ। তাঁকে তড়িঘড়ি ধূপগুড়ি গ্ৰামীণ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাঁকে স্থানান্তরিত করা হয়। পরিবারের সদস্যরা তাঁকে শিলিগুড়ির একটি নার্সিংহোমে ভর্তি করেন। রাতে সেখানেই গোবিন্দ মণ্ডলের মৃত্যু হয়।

Next Article