মালদহ: স্ত্রীকে মেরে ঝুলিয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠল স্বামীর বিরুদ্ধে। অভিযুক্ত যুবক পুলিশে কাজ করেন বলে দাবি নিহতের পরিবারের। মালদহ থানার বলরামপুরের শনিবাথান গ্রামে এই ঘটনা ঘটে। নিহতের নাম মাম্পি মণ্ডল (২৫)। অভিযুক্ত যুবকের নাম জয়ন্ত মণ্ডল। অভিযোগ, বিয়ের পর থেকেই স্ত্রীর উপর অত্যাচার করতেন জয়ন্ত। এরইমধ্যে তাঁদের দুই ছেলের জন্ম হয়। তবে স্ত্রীর প্রতি অত্যাচার কমেনি বলেই দাবি পরিবারের। এরইমধ্যে শুক্রবার বাড়ি থেকে কিছু দূরে একটি গাছে ফাঁস লাগা অবস্থায় ঝুলতে দেখা যায় মাম্পিকে। মাম্পির বাড়ির লোকজনের দাবি, তাদের মেয়েকে মেরে ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছে। এদিকে ওই যুবতীর দেহ উদ্ধারের পরই এলাকার লোকজন ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন।
স্থানীয় সূত্রে খবর, পরিস্থিতি বেগতিক বুঝে থানায় গিয়ে আত্মসমর্পণ করেন জয়ন্ত। যদিও এ বিষয়ে জয়ন্ত বা তাঁর পরিবারের কোনও বক্তব্য পাওয়া যায়নি। বছর পাঁচেক আগে মালদহের পোপরা এলাকার বাসিন্দা মাম্পির সঙ্গে বিয়ে হয় জয়ন্তর। তাঁদের একটি চার বছরের এবং একটি সাত মাসের ছেলে রয়েছে। মাম্পির পরিবারের অভিযোগ, ছেলে পুলিশে কাজ করে দেখেই মেয়ের বিয়ে দেন। কিন্তু বিয়ের পর থেকে পণের দাবি-সহ কারণে অকারণে স্ত্রীর উপর অত্যাচার করতেন জয়ন্ত।
মাম্পির দিদি রিঙ্কি মণ্ডল বলেন, “নেশা করে এসে বোনকে মারত ছেলেটা। এর মধ্যে শুক্রবার বোনের শ্বশুরবাড়ির পাড়া থেকে আমাদের বাড়িতে ফোন যায়, বোন মারা গেছে। শ্বশুরবাড়ির লোকেরা বলছে আত্মহত্যা। কিন্তু বোনকে যখন উদ্ধার করা হয়, তখন ও পা মুড়ে বসেছিল। বসে কি কারও ফাঁসি লাগে? আমাদের মনে হচ্ছে মেরে ফেলেছে ওর বরটাই। ওর বর পুলিশে চাকরি করে। আমার বোনকে যখন উদ্ধার করা হল গলায় দাগ, হাতে আঘাতের চিহ্ন। জিভটা পুরো নীল। আমরা শাস্তি চাই ছেলেটার। থানায় অভিযোগও করেছি। সন্দেহ করত খুব। কিন্তু তা বলে এমন পরিণতি হবে ভাবতেও পারছি না।” পুলিশ জানিয়েছে, মৃতের পরিবারের তরফে দায়ের করা অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু হয়েছে। যার বিরুদ্ধে অভিযোগ সেই জয়ন্ত মণ্ডল থানায় আত্মসমর্পণ করেছে। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।