মালদহ: জেলায় জেলায় ‘তৃণমূলে নবজোয়ার’। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Abhishek Banerjee) নেতৃত্বে কোচবিহার থেকে সাগরে চলছে অভিনব জনসংযোগ কর্মসূচি। টানা ২ মাসের এই কর্মসূচির ডাক দিয়েছেন দলের সেকেন্ড-ইন-কমান্ড অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। বৃহস্পতিবার তার দশম দিনে কর্মসূচিমঞ্চে ছিলেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। স্থান মালদহের ইংরেজবাজার। সেখানে অধিবেশন মঞ্চে উঠেই নবীন প্রজন্মকে দলনেত্রীর বার্তা, দলকে, দলের সংগ্রামকে আরও ভাল করে জানতে হবে। কেন না দলের সম্পর্কে সম্যক জ্ঞানই পারে সাংগঠনিকভাবে একটা প্রজন্মকে শক্তিশালী করতে। এদিন অধিবেশন মঞ্চে উপস্থিত দলীয় নেতা, নেত্রীদের সঙ্গে নিজের ছোট ছোট অভিজ্ঞতাও ভাগ করে নেন দলনেত্রী। কেমন ছিল তাঁর লড়াইয়ের প্রথম দিনগুলি, তুলে ধরেন সকলের সামনে।
এদিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “দলের ইতিহাস না জানলে কী করে জানবেন তৃণমূল কংগ্রেস কত সংগ্রাম করেছে? দল যে সংগ্রাম করে এসেছে, পৃথিবীতে কেউ আর এই সংগ্রাম করতে পেরেছে কি না সন্দেহ আছে।” এই কথার রেশ ধরে তিনি বলেন, “তোমরা তো দেখছ, আমি সুস্থ মানুষ। তোমরা কি জানো আমি একটা জীবন্ত লাশ? আমার মাথা ফাটিয়ে চৌচির করে দেওয়া হয়েছিল। একটা লোহার ডান্ডা মারল। আমি তখন মিছিলে। মাথা ফেটে গেল। দেখছি গলগল করে রক্ত পড়ছে। আরেকটা ডান্ডা মারল। দেখছি দু’দিক থেকে ঝর ঝর করে রক্ত পড়ছে। থার্ড ডান্ডা মারল, ব্রেনটা স্ম্যাশড হয়ে যেত।”
তৃণমূলনেত্রীর কথায়, বহু অত্যাচারের সাক্ষী তিনি। এক ২১ জুলাই তাঁর কোমর ভেঙে দেওয়া হয়েছিল বলে এদিন আরও একবার বলেন মমতা। বলেন, বহু লড়াই করে এই দল তিনি তৈরি করেছেন। এরপরই তাঁর লেখা একাধিক বইয়ের প্রসঙ্গ তুলে মমতা বলেন, “এখন যারা এসেছেন তারা অনেকেই জানেন না। পারলে ‘উপলব্ধি’ বইটা পড়বেন। আমার জীবনের প্রথম অংশটা ওখানে পাবেন। তারপর আসতে আসতে ‘জনতার দরবার’, আরও বই আছে। ১ হাজার কবিতা হয়ে গিয়েছে কবিতাগ্রন্থ ‘কবিতাবিতান’-এ। সেটাও নিজেদের কাছে রাখতে পারেন। ইংলিশ, বাংলা কপি হয়েছে।”