River Erosion in Malda: ফি বছর পুজোর মুখে গঙ্গার ভাঙনে বুক ভাঙে ওদের, কবে থামবে এই দুর্ভোগ?

TV9 Bangla Digital | Edited By: সায়নী জোয়ারদার

Sep 11, 2022 | 10:15 PM

Malda: প্রতি বছর মালদহ, মুর্শিদাবাদের বিস্তীর্ণ এলাকায় এক ছবি। মালদহের কালিয়াচকে শনিবার মাঝরাত থেকে নতুন করে গঙ্গার ভাঙন শুরু হয়েছে।

River Erosion in Malda: ফি বছর পুজোর মুখে গঙ্গার ভাঙনে বুক ভাঙে ওদের, কবে থামবে এই দুর্ভোগ?
গঙ্গার ভাঙন শুরু। নিজস্ব চিত্র।

Follow Us

মালদহ: বর্ষার ঘনঘটা কাটিয়ে শরতের পেঁজা তুলোর মেঘ ভাসে আকাশে। চারদিকে কাশের দোলা। মায়ের আগমনী বার্তা। তবে ওদের কপালে চিন্তার ভাঁজ যেন আর কাটতেই চায় না। ফি বছর পুজো এলেই শুরু হয় গঙ্গার ভাঙন। গঙ্গার গ্রাসে তলিয়ে যায় আস্ত গ্রাম। ঘর চলে যায় জলের তলায়। ওরা ছেলে, মেয়ে, গাই-বাছুর সব নিয়ে ঠাঁই নেয় ত্রাণ শিবিরে। প্রতি বছর মালদহ, মুর্শিদাবাদের বিস্তীর্ণ এলাকায় এক ছবি। মালদহের কালিয়াচকে শনিবার মাঝরাত থেকে নতুন করে গঙ্গার ভাঙন শুরু হয়েছে। ইতিমধ্যেই জল ঢুকেছে কালিয়াচক-৩ ব্লকের পার্লারপুর গ্রামের বিস্তীর্ণ এলাকা।

এলাকা ছেড়ে নিরাপদ আশ্রয়ে গিয়েছেন শতাধিক পরিবার। বিপজ্জনক অবস্থায় রয়েছে এলাকার একমাত্র রাধা গোবিন্দ মন্দির। মন্দিরের কাছাকাছি জল চলে আসায় প্রমাদ গুনছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। এই মন্দিরের সঙ্গে তাঁদের বিশ্বাস, ভক্তি, আবেগ জড়িয়ে। এলাকারই এক যুবকের কথায়, “ভাঙনের অবস্থা খুব খারাপ। আমাদের মন্দিরের সামনে জল ঢুকে পড়েছে। মন্দিরটা আমাদের একটা ধামের মতো। বহু মানুষ এখানে আসেন। ঘুরে দেখেন এই মন্দির। এখানে কিছু হলে আমাদের মনে আমরা সর্বস্ব হারালাম। সেচ দফতর রাতদিন কাজ করছে। ওরা ভাঙনের সঙ্গে রীতিমতো লড়াই চালাচ্ছে। কিন্তু জানি না কী আছে কপালে।”

শুধু মন্দির নয়, পাশাপাশি তলিয়ে যেতে বসেছে মন্দির সংলগ্ন ফেরিঘাট এলাকাও। রাত থেকেই যুদ্ধকালীন পরিস্থিতিতে ভাঙন রুখতে কাজে নেমেছেন সেচ দফতরের কর্মীরা। কিন্তু ভাঙন অব্যাহত। এলাকার লোকজন চান, এবার রাজ্য-কেন্দ্র একজোট হয়ে কিছু একটা করুক। প্রতি বছর এই এক অসহায়তার চিত্র আর ভাল লাগে না এখানকার মানুষের।

বর্ষার মরসুমে শুরু হতেই মালদহের নদী তীরবর্তী বেশ কিছু এলাকায় গঙ্গার ভাঙন শুরু হয়েছে। কালিয়াচক, মানিকচকের বিস্তীর্ এলাকায় নদী ভাঙন চলছে। মানিকচকের নারায়ণপুরে, গোপালপুরে বালুটোলায় নদীর পাড় ভাঙায় চিন্তা বেড়েছে। গঙ্গার পাশাপাশি ফুলহার, কোশির ভাঙনেও চিন্তায় জেলার বিস্তীর্ণ এলাকায় মানুষ।

Next Article