River Bank Erosion: ‘নদী না বাঁধলে ভোট দিবনি’, ভাঙন এলাকায় মন্ত্রী যেতেই ফুঁসে উঠলেন এলাকার লোকেরা

TV9 Bangla Digital | Edited By: সায়নী জোয়ারদার

Nov 04, 2022 | 9:31 PM

Malda: সারা বছর কেউ এলাকায় আসে না বলে অভিযোগ দুর্গতদের। ভোট এলে তাঁদেরও আনাগোনা শুরু হয়।

River Bank Erosion: নদী না বাঁধলে ভোট দিবনি, ভাঙন এলাকায় মন্ত্রী যেতেই ফুঁসে উঠলেন এলাকার লোকেরা
ভাঙন কবলিত এলাকায় সাবিনা ইয়াসমিন।

Follow Us

মালদহ: গঙ্গা ভাঙন পরিস্থিতি দেখতে গিয়েছিলেন মন্ত্রী। এরপরই ক্ষোভে ফেটে পড়েন এলাকার বাসিন্দাদের একাংশ। শুক্রবার বিকেলে মালদহের (Malda) রতুয়া-১ ব্লকের মহানন্দাটোলায় ভাঙন পরিস্থিতি দেখতে যান রাজ্যের সেচ প্রতিমন্ত্রী সাবিনা ইয়াসমিন। সঙ্গে ছিলেন রতুয়ার বিধায়ক সমর মুখোপাধ্যায়। মন্ত্রী যাওয়ার পরই এলাকার বাসিন্দাদের একাংশ ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন বলে অভিযোগ। পরে সংবাদমাধ্যমেও তাঁরা জানান, এভাবে চললে ভোট বয়কট করবেন তাঁরা। তাঁদের অভিযোগ, ভোটের সময় এলে জনপ্রতিনিধিরা আসেন। বাকি সময় কারও দেখা মেলে না। নদীর ধারে বিপদের সঙ্গেই সহবাস করতে হয় বছর বছর।

স্থানীয় বাসিন্দা শোভা চৌধুরী বলেন, “নদী একেবারে বাড়ির পাশে চলে এসেছে। আমরা কোথায় যাব? মন্ত্রী এসেছিলেন। বলে দিয়েছি, আগে নদী বাঁধার কাজ হবে তারপর আমরা ভোট দেব। না হলে ভোট দেব না। কোনও দলকেই আমরা ভোট দেব না। ভোট বয়কট করব আমরা। আমাদের ছবিটোলা, মহানন্দটোলা, ছবিটোলা, মানিকনগর, রুইমারি সব এলাকায় ভয়াবহ অবস্থা। এর কোনও বিহিত কেন নেই আমরা জানতে চাই। দিনের পর দিন এক অবস্থা। কেউ ভাবেই না আমাদের কথা।”

মন্ত্রী এলাকার লোকজনের উদ্দেশে বলেন, “বিরাট নদী। সামশেরগঞ্জেরও অবস্থা তো আরও খারাপ। কাজ করেও যে এটা আটকানো যাবে তার কোনও নিশ্চয়তা নেই। আমাদের টেকনিক্যাল টিমও আসছে। আমরা বিহারের সঙ্গেও বসেছি। কী করে বাঁচানো যায়।” সেচ প্রতিমন্ত্রী সাবিনা ইয়াসমিনের দাবি, কেন্দ্রের তরফে একটা টাকাও তাঁরা পাচ্ছেন না। যতটুকু রাজ্য পারছে চেষ্টা করছে। গঙ্গা বাঁধলেও যে তা কাটা হবে না তারও কোনও নিশ্চয়তা নেই। পাশেই মানিকচক বিধানসভা এলাকা। সেখানেও বোল্ডার-সহ সব ভেসে গেল।

তবে এ যুক্তি মানতে নারাজ এলাকার একাংশ। স্থানীয় বাসিন্দা আবু জাহার বলেন, “আমরা তো শাসকদলের নেতাদের ভালবেসেই ভোট দিয়েছি। কিন্তু আমাদের জমিজায়গা, বাড়িঘর যেভাবে নদীর গ্রাসে যেতে বসেছে আমরা তো ফকির হয়ে যাব। এই যে নদী ভাঙন হচ্ছে কোনও নেতা, মন্ত্রী, স্থানীয় জনপ্রতিনিধি এতদিন আসেননি। আজ এলেন। আসলে ভোট আসছে, তাই লোকজনও আসছেন। কিন্তু নদী ভাঙন বন্ধ না হলে আমরা ভোট বয়কট করব। ভোট দিবনি।”

Next Article