মালদহ: ভোট মিটেছে। এখনও আতঙ্কে ঘরে ফিরতে পারছেন না ওঁরা। মালদহের সীমান্তবর্তী প্রত্যন্ত এলাকা। সেখানে ১৩০ টি পরিবার ঘরছাড়া। আতঙ্কে আত্মগোপন করে রয়েছেন তাঁরা। এর মধ্যে বেশ কয়েকটি পরিবার ছেড়েছে রাজ্য। তাঁদের মধ্যে অনেকেই বিজেপির হয়ে লড়াই করেছেন, কেউ জয় পড়েছেন, কেউ জয় পাননি। কোলের শিশুকে নিয়ে সকলেই পরিবার সহ ছেড়েছেন ঘর। তাঁদেরই কারোর কারোর কাছে পৌঁছে গিয়েছিলেন TV9 বাংলার প্রতিনিধি। মালদহে গ্রাম পঞ্চায়েত ৬৪ টি ত্রিশঙ্কু। এই ত্রিশঙ্কু পঞ্চায়েতগুলিকে দখল করতেই তাঁদের ওপর হামলা চালানো হচ্ছে বলে অভিযোগ।
বিজেপির দাবি, ছাপ্পা ভোট,ব্যালট লুঠ করেও ১৪৬ গ্রাম পঞ্চায়েতের মধ্যে তৃণমূল পেয়েছিল ৫৯ টি, জেলা পরিষদের ৪৩ টির মধ্যে ২১ টি এবং ১৫ টি পঞ্চায়েতে সমিতির মধ্যে ৪ টি আসন। কিন্তু পরে পুলিশ প্রশাসন দিয়ে গণনা কেন্দ্রে কারচুপি করে সবই দখল করেছে। এখন এই ত্রিশঙ্কু পঞ্চায়েতগুলিকেও দখল করতে চাইছে জোর করে।
বিজেপির এক জয়ী প্রার্থী বলছেন, “আমরা ভয়ে ঘরে যেতে পারছি না। আতঙ্কে রয়েছি। বাচ্চা নিয়ে এখানে রয়েছি। স্কুল বন্ধ ওদের। তৃণমূল হেরে গিয়েছে। তবুও ওরা রক্তের গরমে সব কেড়ে নিতে চাইছে।”
বিজেপির সহ সভাপতি অজয় গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, “যদি স্বচ্ছভাবে ভোট হত, তাতে আমাদের যা হিসাব তাতে ২০-২১ টার বেশি জেলা পরিষদ তৃণমূল পাবে না। পঞ্চায়েত সমিতি মালদায় ৪টার বেশি পেতে পারে না। তাও ছাপ্পা মেরে। কাউন্টিংয়ের দিন আমি দেখলাম সব ভূমিকা নিয়ে নিল বিডিও-রা। পুলিশের সমস্ত ফোর্স সেখানে।”
যদিও তৃণমূলের মুখপাত্র আশিস কুণ্ডু বলেন, “সম্পূর্ণ মিথ্যা কথা বলছে বিরোধীরা। বিজেপি ভোট লুঠ করার চক্রান্ত করেছে। তৃণমূল প্রতিবাদ করেছে। ৬৪টা সিট উস্কানি দিয়ে দখল করতে পেরেছে বটে, তবে এই ৬৪ টা পঞ্চায়েতেই তৃণমূল কংগ্রেস অঞ্চল গঠন করবে।”