মালদহ ও নদিয়া: ভোট মিটেছে দিন সাতেক আগে। এখনও ডিসিআরসি কেন্দ্র থেকে উদ্ধার ব্যালট পেপার। মালদার গাজোলের ঘটনায় ছড়িয়েছে ব্যাপক চাঞ্চল্য। সোমবার রাতে গাজোলের হাজিনাকু মহম্মদ হাইস্কুলের ডিসিআরসি কেন্দ্র থেকে তিনটি ব্যালট বাক্স উদ্ধার নিয়ে তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।
সোমবার রাতে স্কুলের ১০৭ নম্বর রুমে তিনটি ব্যালট বাক্স পড়ে থাকতে দেখেছিলেন শিক্ষকরাই। তাঁরাই প্রধান শিক্ষককে জানান। তারপর খবর দেওয়া হয় বিডিও-কে। বিষয়টি জানাজানি হতেই এলাকায় উত্তেজনা ছড়ায়।
এ প্রসঙ্গে বিজেপি নেতৃত্বের বক্তব্য, “তিনটি ব্যালট বাক্স পাওয়া গিয়েছে। মনে করা হচ্ছে, ৮৩ নম্বর বুথের। ভোটের দিন বুথ থেকে এখানে এসে রিসিভড হয়েছে। হয়তো স্টোর রুমে রিসিভ হয়নি। এই নিয়ে সেদিনই একটি হইচই হয়েছিল। কিন্তু সেটা আর খুঁজে পাওয়া যায়নি।” তাঁর প্রশ্ন, “হঠাৎ আজ কেন খুঁজে পাওয়া গেল? মনে হচ্ছে, কেউ সরিয়ে নিয়েছিল। ফের রেখে গিয়েছে। তা না হলে যেটা হারিয়ে গিয়েছিল, সেটা হঠাৎ করে কীভাবে পাওয়া গেল?”
যদিও শাসক নেতৃত্বের তরফে দাবি করা হচ্ছে, “স্কুল কর্তৃপক্ষই বিডিও-র কাছে লিখিতভাবে জানিয়েছে। আমরাও জানতে পারি। এখানকার তিনটি বুথে রিপোল হয়েছে। কারণ যে তিনটি ব্যালট বাক্স পাওয়া গিয়েছে, মনে হচ্ছে, তার প্রেক্ষিতে ওই তিনটি বুথেই পুনর্নির্বাচন হয়ে গিয়েছে।” এবিষয়ে অবশ্য এখনও বিডিও-র তরফে কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।
অন্যদিকে, ভোটের ব্যালট পেপার উদ্ধার ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়ায় নদিয়ার কৃষ্ণগঞ্জে। জানা গিয়েছে, উদ্ধার হওয়া ব্যালটগুলিতে সই ও স্ট্যাম্প মারা রয়েছে। অভিযোগ উঠছে, গণনা কেন্দ্রে থেকে লুঠ হওয়া বৈধ ব্যালট এগুলি। মঙ্গলবার সকালে নদিয়ার কৃষ্ণগঞ্জে থানার মাথাভাঙ্গা নদীর ধারে এই ব্যালট গুলো পড়ে থাকতে দেখে এক শিশু। পরে এলাকায় খবর ছড়িয়ে পড়ে। ঘটনাস্থলে রয়েছেন কৃষ্ণগঞ্জ গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান। রয়েছেন প্রশাসনিক আধিকারিকরাও।