কলকাতা: আগামী ১৮ জানুয়ারি নন্দীগ্রামে যেতে পারেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তৃণমূল সূত্রে খবর, সেদিন তেখালিতে সভা করবেন তিনি। এর আগে কথা ছিল ৭ জানুয়ারি নন্দীগ্রামে যাবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু অখিল গিরির অসুস্থতার কারণে পরে তা বাতিল করা হয়। তখনই জানানো হয়েছিল, পরবর্তী সূচি খুব তাড়াতাড়িই ঘোষণা করা হবে। এখনও অবধি যা খবর, আগামী ১৮ জানুয়ারিই সেই দিন।
২০০৭ সালের ৭ জানুয়ারি নন্দীগ্রামে তিন আন্দোলনকারীর মৃত্যু ঘিরে তোলপাড় হয় রাজ্য রাজনীতি। এ জল গড়ায় বহুদূর। বঙ্গ রাজনীতির পটে পরিবর্তনের হাওয়া লাগে এই নন্দীগ্রামের মাটি থেকেই। পরবর্তীকালে তৃণমূলে থাকাকালীন প্রতি বছর ৭ তারিখ নন্দীগ্রামে যেতেন শুভেন্দু। কিন্তু এ বছর তিনি বিজেপির। ঠিক হয়েছিল, এবার মমতাই যাবেন সেখানে। মমতার সভা ঘিরে হইহই পড়ে গিয়েছিল জেলায়। বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারী নিজে জানিয়েছিলেন, মমতার সভার পরদিনই নন্দীগ্রামে ‘জবাবি সভা’ করবেন তিনি। মমতা সাতে যা বলে যাবেন, আটে ধরে ধরে তার জবাব দেবেন।
আরও পড়ুন: কেন সরানো হল সৌমেন্দুকে, জানতে চায় আদালত
কিন্তু এরইমধ্যে নন্দীগ্রামে মমতার সভার আহ্বায়ক অখিল গিরি করোনা আক্রান্ত হন। তাই মমতা তাঁর সফর সূচিতে বদল আনেন। তৃণমূল নেতা সুব্রত মুখোপাধ্যায় সাংবাদিক সম্মেলন করে জানিয়েছিলেন, মমতা ৭ তারিখ না গেলেও দলীয় কর্মসূচি সেদিনই পালিত হবে। থাকবেন দলের রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সি। তবে মমতা যে খুব তাড়াতাড়িই নন্দীগ্রাম যাবেন তাও জানিয়েছিলেন সুব্রতবাবু। সূত্রের খবর, ১৮ জানুয়ারি ফের মমতার সফরসূচি নির্ধারিত হয়েছে।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সভা বাতিল নিয়ে রাজনৈতিক তরজা ছিল তুঙ্গে। কেন সভা বাতিল করেছেন মমতা তা নিয়ে একের পর এক কটাক্ষের বাণ নিক্ষেপ করেন শুভেন্দু। ‘কেউ কেউ আসবে বলে পগারপার হয়ে যান, বলেন পরে যাব’, এমন কথাও বলতে শোনা গিয়েছে অবিভক্ত মেদিনীপুরের ভূমিপুত্রকে। এবার নন্দীগ্রামের মাটিতে দাঁড়িয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কী বার্তা দেন সেদিকে তাকিয়ে রয়েছে রাজনৈতিক মহল। উল্লেখ্য, শুভেন্দু তৃণমূল ছাড়ার পর এই প্রথমবার নন্দীগ্রামে মমতা। দলের ‘বেসুরো’দের পাশাপাশি অধিকারীদের জন্য তাঁর আলাদা কোনও বার্তা থাকে কি না সেটাও দেখার।