মেদিনীপুর: ডায়মন্ডহারবারের শিরাকোল-বিতর্ক এখনও ফিকে হয়নি। তারই মধ্যে মেদিনীপুরে সভা করতে আসছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah)। রাজনৈতিক মহলের ব্যাখ্যা, হয়তো নাড্ডার ওপর ‘হামলা’র জবাব দিতে আসছেন শাহ। তবে সেই অভিজ্ঞতার সম্মুখীন যাতে শাহকে না হতে হয়, তাই রাজ্য পুলিসের ওপর ভরসা না রেখে নিজেরাই নিরাপত্তার বিষয়টি দেখভাল করছেন বলে জানান স্থানীয় বিজেপি নেতৃত্ব।
শাহর কনভয় ঘিরে থাকার জন্য তৈরি হচ্ছে স্বেচ্ছাসেবকের দল। যে কোনও ধরনের পরিস্থিতি মোকাবিলা করার জন্য তৈরি থাকছেন ১০০০ জন স্বেচ্ছাসেবক। কোথাও কোনও অপ্রীতিকর ঘটনা হলে সেই স্বেচ্ছাসেবকরাই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পারবেন।
বিজেপির জেলা সভাপতি সমিত দাস জানিয়েছেন, “আমদের নিজেদের কর্মী, স্বেচ্ছাসেবকরাই তৈরি থাকবেন অমিত শাহের নিরাপত্তার জন্য। যে কোনও পরিস্থিতি সামনাসামনি হতে প্রস্তুত তাঁরা।” উল্লেখ্য, আগামী ১৯ ডিসেম্বর মেদিনীপুর কলেজ মাঠে সভা রয়েছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর। তার আগে তিনি আরও তিনটি জায়গায় যাবেন। মেদিনীপুরেই হবিবপুরে স্বাধীনতা সংগ্রামী ক্ষুদিরাম বোসের মাসির বাড়ি। এখানেই বড় হয়েছিলেন বিপ্লবী। সেখানে তাঁর মূর্তিতে মাল্যদান করার কথা রয়েছে শাহর। এরপর সিদ্ধেশ্বরী কালী মন্দির ও শালবনির কর্ণগড় মহামায়ার মন্দিরে পুজো দেবেন।
এরপর বালুজুড়িতে এক কৃষকের বাড়িতে মধ্যাহ্নভোজ করবেন। প্রসঙ্গত, এই বিষয়টি নিয়েও প্রশ্ন তুলছেন রাজনৈতিক মহলের একাংশ। তাঁদের বক্তব্য, বাংলায় শাহ এলেই ফিরে আসে মধ্যাহ্নভোজের রাজনীতি। এসবের শেষে মেদিনীপুরের সভায় যোগ দেবেন অমিত শাহ। উল্লেখ্য, এই সভা ঘিরে বিজেপি নেতৃত্বের মধ্যে তত্পরতা ও সতর্কতা আরও বেশি। কারণ ২০১৮-তে এখানেই প্রধানমন্ত্রীর সভাতে ভেঙে পড়েছিল সামিয়ানা। সে এক ভয়াবহ স্মৃতি। আহত হয়েছিলেন ৯৯ জন কর্মী সমর্থক। সভা দ্রুত শেষ করে কর্মীদের দেখতে হাসপাতালে গিয়েছিলেন মোদী। দুর্ঘটনায় সেই স্মৃতির যেন এবার পুনরাবৃত্তি না হয়, সেদিকে বিশেষ নজর রয়েছে বিজেপি নেতৃত্বের।
তবে বিজেপি নেতৃত্বের একটি আশঙ্কাও রয়েছে। শাহর এবারের সভা ঘিরে ব্লক, মণ্ডল স্তরের কর্মী সমর্থকদের মধ্যেও যে উত্সাহ, উদ্দীপনা রয়েছে, তাতে সভায় জায়গা সংকুলন হতে পারে বলে মনে করছেন স্থানীয় বিজেপি নেতৃত্ব। পূর্ব – পশ্চিম মেদিনীপুর ও ঝাড়গ্রাম জেলার বিজেপির ৫ সাংগঠনিক জেলার নেতারা থাকবেন ওই সভায়। তাঁদের জন্য আলাদা মঞ্চ করা হবে। ওই দিনের সভায় হেভিওয়েট কোনও তৃণমূল নেতা যোগদানের কথা রয়েছে।