মেদিনীপুর: ভিন রাজ্যে মেয়েকে মেরে ঝুলিয়ে দিয়েছেন স্বামীই। অভিযোগের ভিত্তিতে শ্বশুর বাড়িতে ভাঙচুর চালালেন মেয়ের পরিবারের সদস্যরা। ঘটনাটি ঘটেছে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার দাসপুর থানা বেলেঘাটা এলাকায়।
জানা গিয়েছে, প্রায় দেড় বছর আগে দাসপুর বেলেঘাটার বাসিন্দা শম্ভু পালের ছেলে দীপঙ্কর পালের সঙ্গে বিয়ে হয় ঘাটালের শ্রীপুর গ্রামের বাসিন্দা সুইটি দোলুইয়ের। বিয়ের পর থেকে মাঝে মধ্যেই অশান্তি লেগে থাকত সংসারে। সংসারে অশান্তির জেরে বিবাহ বিচ্ছেদের কথা বলেন সুইটির পরিবারের সদস্যরা। দাসপুরের বেলেঘাটায় স্থানীয় পঞ্চায়েত অফিসে সাময়িকভাবে মীমাংসা হয়। সে সময়ে বিবাহ বিচ্ছেদ না হয়ে শ্বশুরবাড়ির তরফেই আরেকটা সুযোগ চাওয়া হয়।
দীপঙ্কর তাঁর স্ত্রী সুইটিকে নিয়ে দু’মাস আগে মুম্বাইয়ে কাজে চলে যান। এদিকে গত রবিবার সন্ধ্যা নাগাদ ঘাটালের শ্রীপুর গ্রামে গৃহবধূর বাপের বাড়িতে ফোন যায়। পরিবারের দাবি, ফোনে জানানো হয় মুম্বইয়ে সুইটি গলায় দড়ি দিয়ে আত্মঘাতী হয়েছেন।
গৃহবধূর বাপের বাড়ির সদস্যদের অভিযোগ, আত্মহত্যা নয় তাঁদের মেয়েকে মেরে ঝুলিয়ে দিয়েছেন তাঁর স্বামী। তারপর গৃহবধূর পরিবার দাবি করে, দেহ দাসপুরে এনে সৎকার করতে হবে। কিন্তু অভিযোগ, শ্বশুরবাড়ির সদস্যরা সেই দাবিও মানতে চান না। সোমবার দুপুরে বেলেঘাটায় গৃহবধূর শ্বশুরবাড়ি ভাঙচুর চালান বাপের বাড়ির লোকজন। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় দাসপুর থানার বিশাল পুলিশ বাহিনী। অবশেষে পুলিশের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়। শ্বশুরবাড়ির দাবি, এই মৃত্যুর পিছনে দীপঙ্করের কোনও হাত নেই। মিথ্যা অভিযোগেই এই হামলা।