মেদিনীপুর: ফের লাইনচ্যুত (Derailed) যাত্রীবাহী ট্রেন। এবার মেদিনীপুর থেকে হাওড়াগামী একটি লোকাল (Medinpur-Howrah local) ট্রেন লাইনচ্যুত হয়ে গিয়েছে। শনিবার রাত ১০টা নাগাদ গিরি ময়দান থেকে খড়্গপুর ঢোকার মুখেই লাইনচ্যুত হয়ে যায় ট্রেনটি। শেষ পাওয়া খবর পর্যন্ত, এই দুর্ঘটনায় হতাহতের কোনও খবর নেই। খবর পেয়েই দুর্ঘটনাস্থলে পৌঁছেছেন রেলের আধিকারিকেরা।
রেল সূত্রে জানা গিয়েছে, এদিন রাত ৯.০৫ মিনিট নাগাদ মেদিনীপুর স্টেশন থেকে হাওড়ার দিকে রওনা দেয় ডাউন লোকাল ট্রেনটি। খড়গপুর স্টেশনে ঢোকার মুখে লাইনচ্যুত হয়ে পড়ে। রাত পৌনে ১০টা নাগাদ গিরি ময়দান থেকে খড়্গপুর স্টেশনের মাঝে ঘটনাটি ঘটেছে। শেষ পাওয়া খবর পর্যন্ত, লোকাল ট্রেনের কয়েকটি বগি লাইনচ্যুত হয়েছে। তবে হতাহতের কোনও খবর পাওয়া যায়নি। লোকাল ট্রেনের লাইনচ্যুত হওয়ার খবর পেয়েই দুর্ঘটনাস্থলে পৌঁছন রেল আধিকারিক এবং পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা পুলিশ।
এদিন স্টেশনে ঢোকার মুখে লোকাল ট্রেনটি লাইনচ্যুত হতেই খড়্গপুর রেল দফতরে সাইরেন বেজে ওঠে বলে রেল সূত্রে খবর। জেলা পুলিশ সুপার ধৃতিমান সরকার বলেন, একটা খবর পেয়ে ঘটনাস্থলের উদ্দেশ্যে পুলিশের টিম পাঠানো হয়েছে। ট্রেনটির একটি কামরাই লাইনচ্যুত হয়েছে। দীর্ঘক্ষণ ধরে মেরামতির পর রাতের দিকে পুনরায় ট্রেনটি ছাড়ে।
অন্যদিকে, খড়্গপুর স্টেশন কাছে থাকায় ট্রেনের যাত্রীরা নেমে হেঁটে স্টেশনে চলে যান এবং সেখান থেকে অন্য ট্রেন ধরে গন্তব্যে পৌঁছন।
প্রসঙ্গত, দিন আষ্টেক আগে, গত ২ জুন ওড়িশার বাহানাজা বাজারের কাছে লাইনচ্যুত হয়ে ভয়াবহ ট্রেন দুর্ঘটনা ঘটেছিল। মালগাড়িতে ধাক্কা খেয়ে আপ করমণ্ডল এক্সপ্রেসের কয়েকটি বাদে সব কামরা চারদিকে ছিটকে যায় এবং দুমড়ে-মুচড়ে যায়। ক্ষতিগ্রস্ত হয় মালগাড়িটি এবং সেই সময়ে ঘটনাস্থলে এসে পড়া ডাউন যশবন্তপুর এক্সপ্রেস। ভয়াবহ এই দুর্ঘটনায় ২৮৮ জনের মৃত্যু হয়েছে এবং কয়েকশো মানুষ গুরুতর আহত হয়েছেন। সেই দুর্ঘটনার রেশ এখনও কাটেনি। এর মধ্যে একের পর এক বিপদের সম্মুখীন হল বেশ কয়েকটি ট্রেন।