Jhalda Municipality: শীলায় ‘অনাস্থা’ তৃণমূলেরই ৫ কাউন্সিলরের, ঝালদা পুরসভা আবারও শিরোনামে

Jhalda: মোট ১২টি আসন নিয়ে ঝালদা পুরসভা। এই পুরসভায় কখনও কংগ্রেস কখনও তৃণমূল, দড়ি টানাটানি চলছেই। সঙ্গে প্রথম থেকেই নির্দল হয়েছে 'ফ্যাক্টর'। শীলা চট্টোপাধ্য়ায় প্রথমে কংগ্রেসের সমর্থনে চেয়ারপার্সন পদে বসেন। পরে তৃণমূলে যোগদানও করেন। তবে তাঁকে নিয়ে শাসকদলের অন্দরেই যে মতবিরোধ, তা প্রথম থেকেই গুঞ্জন ছিল। এবার সরাসরি তা প্রকাশ্যে।

Jhalda Municipality: শীলায় 'অনাস্থা' তৃণমূলেরই ৫ কাউন্সিলরের, ঝালদা পুরসভা আবারও শিরোনামে
শীলা চট্টোপাধ্যায় (ফাইল ছবি)Image Credit source: TV9 Bangla
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Dec 07, 2023 | 9:07 PM

পুরুলিয়া: আবারও শিরোনামে ঝালদা পুরসভা। এবার পুরসভার চেয়ারপার্সনের নামে অনাস্থার ডাক দিলেন তৃণমূলেরই ৫ কাউন্সিলর। আর সেই তালিকায় যোগ দিলেন কংগ্রেসের আরও ২। স্বভাবতই এই সিদ্ধান্তে আবারও চ্যালেঞ্জের মুখে শীলা চট্টোপাধ্যায়। নির্দল থেকে তৃণমূলে যোগ দিলেও পদকে ‘সুরক্ষিত’ রাখাটাই তাঁর কাছে চ্যালেঞ্জ হয়ে রইল। বুধবার কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ নির্দেশ দিয়েছে, পুরপ্রধানের প্রতি যদি আস্থা না থাকে পুরআইন মোতাবেক পদক্ষেপ করতে হবে। আদালতের এই রায়ের ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই ঝালদার পুরপ্রধানের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব আনলেন তৃণমূল কাউন্সিলররা।

মোট ১২টি আসন নিয়ে ঝালদা পুরসভা। এই পুরসভায় কখনও কংগ্রেস কখনও তৃণমূল, দড়ি টানাটানি চলছেই। সঙ্গে প্রথম থেকেই নির্দল হয়েছে ‘ফ্যাক্টর’। শীলা চট্টোপাধ্য়ায় প্রথমে কংগ্রেসের সমর্থনে চেয়ারপার্সন পদে বসেন। পরে তৃণমূলে যোগদানও করেন। তবে তাঁকে নিয়ে শাসকদলের অন্দরেই যে মতবিরোধ, তা প্রথম থেকেই গুঞ্জন ছিল। এবার সরাসরি তা প্রকাশ্যে।

এদিন যাঁরা সই করেছেন, সেই ৫ জনই আদি তৃণমূল। যদিও এ নিয়ে সরাসরি কোনও কথাই বলতে চাননি চিঠিতে সই করা কাউন্সিলররা। তবে তৃণমূলের কাউন্সিলার তথা প্রাক্তন পুরপ্রধান সুরেশ আগরওয়াল জানান, কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে বর্তমান পুরপ্রধান শীলা চট্টোপাধ্যায় পদে ছিলেন। ডিভিশন বেঞ্চ যে রায় দিয়েছে, তাতে নিয়ম মোতাবেক তাঁকে ক্ষমতায় থাকতে হবে। কাজেই আস্থা ভোট হতেই পারে।

অন্যদিকে এই অনাস্থার চিঠি নিয়ে শীলা চট্টোপাধ্যায় জানান, তিনি চিঠির কথা শুনেছেন। তবে এই মুহূর্তে ঝালদার বাইরে। বলেন, “দল যা সিদ্ধান্ত নেবে সেই মতো কাজ করব।” জেলা তৃণমূল সভাপতি সৌমেন বেলথরিয়ার কথায়, “ঝালদার তৃণমূল কাউন্সিলরদের নিয়ে আলোচনায় বসে সব ঠিক করা হবে। ক্ষমতায় তৃণমূলই থাকবে।” তবে কংগ্রেস কাউন্সিলর বিপ্লব কয়ালের বক্তব্য, কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশ মেনেই সব করা হচ্ছে। লক্ষ্য ঝালদার প্রকৃত উন্নয়ন। ঝালদার মানুষ কোনও পুরপরিষেবা পাচ্ছেন না। এই অবস্থা থেকে বেরিয়ে আসার জন্য এই পদক্ষেপ।