রঘুনাথগঞ্জ: স্বামী মদ্যপ অবস্থায় ছিল। তাঁর কথায় কর্ণপাত করেননি স্ত্রী। সেই ‘অপরাধে’ নিজের জীবন দিতে হল ৩০ বছরের গৃহবধূ শ্যামলী মালকে। রবিবার সন্ধ্যায় মর্মান্তিক ঘটনাটি ঘটেছে মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) রঘুনাথগঞ্জ থানার সান্ডা গ্ৰাম এলাকায়। এই ঘটনার পর ক্ষুব্ধ গ্রামবাসী গ্রামের চোলাই মদের ঠেকে গিয়ে বিক্ষোভ দেখায়। তারপর রঘুনাথগঞ্জ থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
পুলিশ জানায়, সান্ডা গ্ৰামের বাসিন্দা মিলন মাল রড দিয়ে তাঁর স্ত্রী শ্যামলী মালের মাথায় আঘাত করে এবং তার জেরেই তাঁর মৃত্যু হয় বলে অভিযোগ। অভিযুক্ত মিলন মালকে আটক করা হয়েছে। গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে রঘুনাথগঞ্জ থানার পুলিশ।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মিলন মাল ও শ্যামলী মালের ১২ বছরের একটি ছেলে রয়েছে। শ্যামল মদের নেশায় আসক্ত ছিল। এটা নিয়ে প্রায়ই শ্যামলীর সঙ্গে তার বচসা হত। এদিন দুপুর থেকে গ্রামের চোলাই ঠেকে বসে মদ পান করছিল মিলন। তারপর দুপুরে বাড়ি ফিরে স্ত্রীকে জল নিয়ে আসতে বলে মিলন। শ্যামলী সে কথায় কর্ণপাত করেননি। সেই রাগে ঘরে পড়ে থাকা লোহার রড তুলে শ্যামলীর মাথায় সজোরে আঘাত করে মিলন। আচমকা লোহার রডের আঘাতে রক্তাক্ত হয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন শ্যামলী। ঘটনাস্থলেই তাঁর মৃত্যু হয়। এরপর ঘটনাটি জানাজানি হতেই ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠে গ্রামবাসী।
মদ্যপ হওয়ার ফলেই মিলন এই ভয়ঙ্কর কাণ্ড ঘটিয়েছে বলে অভিযোগ গ্রামবাসীর। তাই শ্যামলীর মর্মান্তিক মৃত্যুর পর গ্রামের চোলাই মদের ঠেকে গিয়ে বিক্ষোভ দেখায় গ্রামবাসী। তারপর রঘুনাথগঞ্জ থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। মিলনকেও আটক করে থানায় নিয়ে যায় পুলিশ। গৃহবধূর মর্মান্তিক মৃত্যুতে গ্রামে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।