মুর্শিদাবাদ: ঘুটঘুটে অন্ধকার রাস্তা। সেখান দিয়েই বাড়ি ফিরছিলেন এক অটোচালক। সারাদিনের টিপ শেষ করে বড়দিনের রাতে বাড়ি ফিরে পরিবার, বন্ধুবান্ধবদের সঙ্গে সময় কাটানোর প্ল্যান ছিল। আচমকা অন্ধকারের বুক চিরে কানে আসে কিছু আওয়াজ। ভেসে আসছিল কাতর আর্তনাদ, ‘আমাদের বাঁচান’। চমকে ওঠেন তিনি। অন্ধকারের মধ্যে এমন কাতর আর্তি শুনে হকচকিয়ে যান। সঙ্গে সঙ্গে অটো থামিয়ে রাস্তায় নামেন। সে এক বীভৎস দৃশ্য। মুর্শিদাবাদের রঘুনাথগঞ্জ থানার অন্তর্গত সাহেবনগর এলাকার ওই রাস্তার ধারেই পড়ে রয়েছে তিন যুবক। গুরুতর আহত। গোটা শরীর রক্তে মাখামাখি। রাস্তাও ভেসে যাচ্ছে চাপ চাপ রক্তে। পাশেই পড়ে ছিল একটি বাইক। সঙ্গে সঙ্গে চিৎকার করে সাহায্যের জন্য ডাকাডাকি শুরু করেন ওই অটোচালক। চিৎকার শুনে কয়েকজন এলাকাবাসী ছুটেও আসেন। এরপর ওই তিন যুবককে উদ্ধার করে নিয়ে যাওয়া হয় জঙ্গিপুর মহুকুমা হাসপাতালে।
কীভাবে এই দুর্ঘটনা ঘটল, সেই বিষয়টি এখনও স্পষ্ট নয়। অন্য কোনও গাড়ির সঙ্গে ধাক্কা লেগেছিল কি না, নাকি অন্য কোনওভাবে দুর্ঘটনা, তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। দুর্ঘটনার কবলে পড়া বাইকটিকেও উদ্ধার করে থানায় নিয়ে গিয়েছে রঘুনাথগঞ্জ থানার পুলিশ। পুলিশ ইতিমধ্যেই গোটা ঘটনার স্বতোঃপ্রণোদিতভাবে তদন্ত শুরু করে দিয়েছে।
পুলিশ সূত্র মারফত জানা যাচ্ছে, আহত তিন যুবকের নাম রাজু মাঝি, বাদাম মাঝি ও বাবুলাল মাঝি। আহতদের প্রত্যেকেরই বাড়ি রঘুনাথগঞ্জ থানা এলাকার বোধরা গ্রামে। প্রাথমিকভাবে পুলিশ সূত্রে জানা যাচ্ছে, তিন বন্ধু মিলে ওই বাইকে চেপে বাড়ি ফিরছিল। তবে কীভাবে এই ঘটনা ঘটল, তা স্পষ্ট নয় পুলিশের কাছে। জানা যাচ্ছে, আহত যুবকরা কিছুটা সুস্থ হলে, তাঁদের থেকে বয়ান নিতে পারে পুলিশ।